ফিরে দেখা ৬ ডিসেম্বর: স্বৈরাচার এরশাদ ভাঁড়ের নাচে দুলছিল দুই জোট

Slider জাতীয় টপ নিউজ রাজনীতি


ঢাকা: শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া হাস্যোজ্জ্বল মুখে পাশাপাশি বসে স্বৈরাচার এরশাদের পতনের ব্যাপারে আলাপ করছেন। এ রকম দৃশ্য আর দেখা যায়নি। ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পুরনো স্বৈরাচারকে পাশে রাখতে দুই দলই এখন সচেষ্ট। এসব দেখে কে জানে আড়ালে বসে এরশাদ হয়তো হাসছেন!

বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে বরখাস্ত সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা নেন ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ। এরপর ছাত্র-জনতার রক্ত-খুনের ৯ বছরের শাসন জোর করে চাপিয়ে দিয়েছেন দেশের মানুষের ওপর। এক দীর্ঘ রক্তাক্ত সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট গণ-অভ্যুত্থানে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদের কালো অধ্যায় শেষ হয়। সে সময় আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক পক্ষ জাতির কাছে অঙ্গীকার করেছিল, স্বৈরাচারের বিচার হবে। তবে গত ২৩ বছরেও স্বৈরাচার এরশাদের বিচার তো হয়ইনি, বরং প্রধান দুই জোটের কাছে তিনি আগের চেয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন। বেড়েছে কদর। ভেস্তে যেতে বসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের রক্তের প্রতিশোধ। বিশ্ববেহায়াখ্যাত এরশাদকে নিয়ে এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন আরিফুজ্জামান তুহিন

ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক দিন পর ২৫ মার্চ থেকেই জারি করা হয় সান্ধ্য আইন। শুরু হয় গণগ্রেপ্তার। সান্ধ্য আইন জারি থেকে ওই মাসের ২৯ মার্চ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয় ৬১৩ জন। এ সময় গণতন্ত্রের সংজ্ঞাও দেন এই সামরিক শাসক। ১৯৮২ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকা জেলা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এমন এক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’ সত্যিই তিনি এমন গণতন্ত্রই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার পরের ৯ বছর, যেখানে রক্তের স্রোতে ভিজে গিয়েছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইল।

জয়নাল-দীপালির রক্তের দাগ মুছে গেছে

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। রাজনৈতিক দলগুলো এরশাদের এভাবে ক্ষমতা দখল নীরবে বিশেষ করে ছাত্ররা মেনে নেয়নি। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশেষত ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মিছিলে পুলিশের গুলিতে জয়নাল, জাফর, দীপালি নিহত হওয়ার পর থেকেই দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে ওঠে।

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টার লাগাতে গিয়ে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর তিন সদস্য গ্রেপ্তার হন। কলাভবনে ২৪ মার্চ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া এই ছাত্রনেতারা হলেন শিবলী কাইয়ুম, হাবিব ও আ. আলী। পরে সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালতে তাঁদের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। সেই থেকে শুরু হয় সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের আপসহীন লড়াইয়ের দিনগুলো।

এরই অংশ হিসেবে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলের প্রথমে শতাধিক ছাত্রীর অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। কার্জন হল থেকে বেরিয়ে মিছিলটি হাইকোর্টের সামনে গেলে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। কিন্তু কোনো উসকানি ছাড়াই তারকাঁটার একদিক কিছুটা সরিয়ে রায়ট কার ঢুকিয়ে রঙিন গরম পানি ছিটাতে শুরু করে পুলিশ। এরপর ভেতরে ঢুকে বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। সাধারণ ছাত্ররা তখন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ তখন ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন জয়নাল ও জাফর। শুধু গুলি করেই নিশ্চুপ থাকেনি পুলিশ। জয়নালের লাশ বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়। একই সময় শিশু একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা দীপালি নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তবে দীপালির লাশ পুলিশ গুম করে ফেলে।

বিকেলে জয়নালের জানাজার নামাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। উপস্থিত ছাত্র-জনতার ওপর চলে পুলিশি তাণ্ডব। এ সময় মহসীন হলের রান্নাঘরে জয়নালের লাশ ছাত্ররা লুকিয়ে রাখে। পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী ও বিডিআর। শাহবাগ, টিএসসি চত্বর, কলাভবনের সামনে, নীলক্ষেত, কাঁটাবনের রাস্তা ধরে পুরো অঞ্চল ঘেরাও করে ফেলে তারা। অপরাজেয় বাংলার সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় বহু ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের মেরে হাত-পা ভেঙে ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তৎকালীন উপাচার্য পদত্যাগ করেন। কলাভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক যাঁকে পেয়েছে তাঁকেই নির্যাতন করেছে। ওখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খ ম জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। অবশেষে মুহসীন হলের ডাইনিংয়ে লাশ পাওয়া গেলে অন্যান্য হলে লাশের তল্লাশি বন্ধ করা হয়। এ সময় দুই হাজারের ওপর ছাত্রজনতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে সরকারি হিসেবে তা এক হাজার ৩৩১ জন। সবাইকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে।

গণতন্ত্রের আরেক নাম নূর হোসেন

মটরড্রাইভার শ্রমজীবী বাবার শ্রমজীবী সন্তান নূর হোসেন। অন্য সবার মত এরশাদ বিরোধী উত্তাল আন্দোলনে নূর হোসেনও অকূতভয় বীর। উদোম শরীরে কোমরের কাছে বেধে নিয়েছেন শার্ট। হাত উদ্ধত ভঙ্গি, যেনো গেরিলার রাইফেলের নল। বুকে ও পিটে লেখা ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাতন্ত্র নিপাত যাক’। সেই বুকেই স্বৈরাচারের পাহারাদার পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হলো। বুক তার হয়ে গেলো বাংলাদেশের জমিন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নিহত হলেন নূর হোসেন। ১৯৬৯ সালের আইয়ূব বিরোধী আন্দোলনে আসাদ নিহত হলে যেমন দুলে উঠেছিলো পূর্ব বাংলা বা তৎকালিন পূর্বপাকিস্তান-তেমনি নূর হোসেন নিহত হবার পর এরশাদের স্বৈরাশাসনের মসনদ কাপিয়ে দিয়েছিলো। আওয়ামী লীগের এই কর্মীকে মনে রেখেছে কি তাঁর দল?

ডা. মিলন হত্যা : ধসে পড়ল

এরশাদের খুনের শাসন

নব্বই সালের শেষের দিকে এসে গণ-আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। অনিবার্য হয়ে পড়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন। এ সময় ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর নীরু-অভি বাহিনীর নেতৃত্বে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন। সে রাতেই ধর্মঘট ডাকা হয় সংবাদপত্রে। পরদিন থেকে বন্ধ হয়ে গেল পত্রিকা বের হওয়া। ২৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গণহারে পদত্যাগ করেন। ৩০ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য ২ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করা হয়। সে সুযোগে আন্দোলনের শহীদদের জন্য মসজিদে মসজিদে গায়েবানা জানাজার সময় মুসলি্লদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিডিআর। সেদিন রামপুরা ওয়াপদা রোডে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় বাসায় ঢুকে বিডিআররা এক মাকে হত্যা করে। ১ ডিসেম্বর মিরপুরে মিছিলে বিডিআরের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পাঁচজন। কাজীপাড়ায় দুজন, ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে দুজন, চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সেনাবাহিনীর হাতে একজন, খুলনায় রিকশাচালক মহারাজ, নারায়ণগঞ্জে মণ্ডলপাড়ায় এক কিশোরসহ সারা দেশে আরো অসংখ্য মানুষ নিহত হন পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিডিআরের গুলিতে। ড. মিলন হত্যার পরে মাসে অর্থাৎ স্বাধীনতার বিজয়ের মাসের ২ তারিখে রাজধানীতে ছাত্ররা গণ আদালতে বিচার করেন স্বৈরাচার এরশাদের। গণ আদালতে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একই সময় সচিবালয় সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্য এরশাদের বিরুদ্ধাচারণ করে মিছিল বের করেন। গণহারে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেন। এসময় রাজপথে টহলরত সেনা ও পুলিশের ভ্যান থেকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকারীদের দিকে হাত নেড়ে সমর্থন দিতে দেখা যায় বিভিন্নস্থানে। ৩ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এরশাদ শর্তসাপেক্ষে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চার ডিসেম্বর এরশাদের ‘শর্তসাপেক্ষ প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করে পথে নামে মানুষ। বিকেলে তিন জোটের সমাবেশ থেকে এরশাদকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর রাত ১০টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংরেজি সংবাদে জেনারেল এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে পদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করেন জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

নিজেকে এরশাদ দাবী করেন ‘পল্লীবন্ধু’ বা গ্রামের মানুষের বন্ধু হিসেবে। গ্রামের মানুষের বন্ধু হিসেবে কতটা কৃষকের উন্নতি করেছেন সে ফিরিস্তি দিয়ে লেখা লম্বা না করে বরং খোদ কৃষকের কাছেই ছেড়ে দেওয়া হলো এই প্রশ্নের মিমাংসার ভার। তবে স্বঘোষীত পল্লীবন্ধু এখন পল্টি বা বার বার কথা দিয়ে কথা না রাখার বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। এ কারণে অনেকেই এখন তাকে পল্টীবন্ধু বলতেই বেশি স্বস্তি বোধ করছেন। আর জাতি অপেক্ষা করছে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনের প্রেসিডেন্ট পার্কে কি ঘটতে যাচ্ছে। ২৪ ঘন্টাই সেখানে অবস্থান করছেন দেশের গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা।

প্রথমবার তিনি ঘোষণা দিলেন, সর্বদলীয় সরকারের তার দলের সদস্যরা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে। এ হিসেবে তার দল থেকে ৬ জনকে নির্বাচনকালীন মন্ত্রীসভার সদস্যও করা হয়। এরপর গত ৩ ডিসেম্বর জাপার ২৯৯টি সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচনের নমিশন পেপার কিনেছেন। কিন্তু তার একদিন পরেই অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর তিনি অকাস্মাৎ ঘোষণা দিলেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যাবে না। কারণ প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসছে না। নির্বাচন করার মত পরিবেশ দেশে নেই। সরকার তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন। কাহাতক নাটক। একটি পূর্নদৈঘ্য বাংলা চলচ্চিত্রেও এতো সাসপেনসান থাকে না। এই মূহুর্তে এরশাদ যতটা করছেন। বিনা অর্থে এ সিনেমা দেখার জন্যই তাই উদগ্রিব জাতি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি এরশাদ। কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তবে কেন থামবেন এরশাদ? সর্বশেষ যে ফর্মুলা দাঁড়িয়েছে তা হলো, এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে এই মূহুর্তে বাইরে রাখা হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবে এরশাদ পতি্ন সাবেক ফাস্ট লেডি রওশান এরশাদ। নির্বাচনের তারিখ পেছানো হবে। জাতীয় পার্টি রওশান এরশাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে। এই লেখা যখন ছাপা হবে তখন হয়তো এরশাদ নাটকের সমাপ্তি ঘটবে।

বিরোধী দলের দুরাশা

বিরোধী দলের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত ইসলাম রয়েছে। এরশাদকে কাছে পেলে স্বৈরাচার আর যুদ্ধাপরাধের অভূতপূর্ব মহামিলন ঘটতো। জাতি হয়তো এই মূহুর্তে এই মহামিলনের সাক্ষি থেকে বঞ্চিত হোল। তবে বিএনপি এখনো আশা ছাড়েনি। তাদের জোটে পতিত স্বৈরাচারকে তারা এনেই ছাড়বে। এ জন্য এরশাদের সঙ্গে নানান ধরনের যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চলেছে বিএনপি। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ছেড়ে এরশাদের বেশি দূর যাওয়ার সুযোগ নেই। এরশাদের প্রাণ ভ্রমোরাটি আওয়ামী লীগের কাছেই হয়তো আছে। কৌশলগত বা সরাসরি যেভাবেই হোক দুই জোটেই রয়েছে হুসেই মুহাম্মদ এরশাদ অপারিসিম গুরুত্ব। দুই জোটের দুই নেত্রীর যে কোন একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর সেই প্রধানমন্ত্রী তৈরীতে এরশাদই প্রধান ভূমিকা রাখবেন। এটাই এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য সব থেকে বড় ট্রাজিডি।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস : এরশাদের সময়কাল- ড. মোহাম্মদ হাননান ও তৎকালীন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন। ছবিগুলো নেওয়া হয়েছে স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিদিন আন্দোলন অ্যালবাম থেকে
সূত্র: ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ | দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এই প্রতিবেদন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *