হলি আর্টিজান হামলা ‘এ রায় ন্যয়বিচার নিশ্চিত করবে’

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি সারাদেশ

হলি আর্টিজান হামলায় ৭ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। কি কারণে এই ৭ আসামীকে সাজা দেয়া হলো তা রায়ে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে জননিরাপত্তা বিপন্ন করার এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা এ হামলা চালায়। জেএমবির একাংশ নিয়ে গঠিত নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটায়। নিরপরাধ দেশি-বিদেশি মানুষ যখন রাতের খাবার খেতে হলি আর্টিজান বেকারিতে যায়, তখনই আকস্মিকভাবে তাদের উপর নেমে আসে জঙ্গীবাদের ভয়াল রূপ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জঙ্গী সন্ত্রাসীরা শিশুদের সামনে এ হত্যাকাণ্ড চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিরা মৃতদেহগুলোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়।
মুহুর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় হলি আর্টিজান বেকারি। কলঙ্কজনক এ হামলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চরিত্র হরণের চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার ফলে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য পরিচিত বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুন্ন হয়। সেজন্য সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে আসামীরা কোন ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না। এই ক্ষেত্রে আসামিদের সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর ৬(২)(অ)ধারায় প্রদত্ত সর্বোচ্চ সাজা প্রদানই ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবে এবং ভাগ্যাহত মানুষের স্বজনরা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *