উপকূলে বুলবুলের আঘাত ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক : জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে চর দ্বীপাঞ্চল : লাখো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার মুখোমুখি


ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র অগ্রবর্তী অংশের আঘাত শুরু হয় গতকাল শনিবার রাত ৯টায়। এসময় পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপে আঘাত হানে বুলবুল। মূল ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত মাঝরাতে। বাংলাদেশ উপক‚লের কাছাকাছি উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে গর্জে উঠে প্রবল বেগে ‘বুলবুল’ আছড়ে পড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে খুলনা-সুন্দরবনে। গতিবেগ ছিল একশ’ কিলোমিটারেরও বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে চর দ্বীপাঞ্চল। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আমন ফসল, শীতকালীন শাক-সবজিসহ বিভিন্ন স্থানে বসতঘর, অবকাঠামো, গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। দুর্যোগের কবল থেকে জীবন বাঁচাতে লাখো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।

তারা চরম উৎকণ্ঠায় ও নানামুখী বিড়ম্বনায় বিনিদ্র রাত পার করছে। নিশিরাতে স্বাভাবিক জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা অবধি বিস্তীর্ণ উপক‚লভাগ। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে ফিরেনি শতাধিক ট্রলার নৌযান। ঝড় কেটে যাওয়ার সাথে সাথে উপক‚লসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে কয়েকদিন মাঝারি থেকে অতি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ‘বুলবুল’র আঘাত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সমগ্র বাংলাদেশে গুমোট থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করে।
এ সময় কোথাও কোথাও হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়। চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। থমকে গেছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। ভরা পর্যটনের মওসুমেই ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে সৈকত পর্যটনের শহর কক্সবাজার, কুয়াকাটায়। আবহাওয়ার গুমোট অবস্থাটা যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জানান দিচ্ছিল। দশদিন আগে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ঝড়ের একখন্ড নিম্নচাপ উত্তর আন্দামান সাগরে ছুটে এসে প্রায় এক সপ্তাহ আগে সেখানে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ।

ধাপে ধাপে ঘনীভূত ও শক্তি সঞ্চয় করে বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হয়। তখন বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল ও বিশেষত খুলনা উপক‚লের কোটি মানুষের মাঝে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস ঘিরে অজানা ভয়-আতঙ্ক সবার মনে বাসা বাঁধে- কী হবে কী ঘটবে!
তবে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ ‘বুলবুল’র গতি কিছুটা কমে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ধাবিত হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা-সুন্দরবনের দিকে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, ‘বুলবুল’র আঘাতের সময় যদি প্রবল বৃষ্টিপাত হয় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ঘূর্ণিবায়ুর চাপ বেড়ে গেলে বাংলাদেশের দিকে তখন ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র জোর কমবে। তাহলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও কম হতে পারে। তবে আঘাতের সময়টিতে ঘূর্ণিঝড়ের মতিগতির উপর তা নির্ভর করে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবং জানমাল রক্ষায়, জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা আগাম প্রস্তুতি ও সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির ওপর খোঁজ-খবর রাখেন। তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবগণ এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

‘বুলবুল’র সর্বশেষ মতিগতি ও আবহাওয়া পরিস্থিতি
গতকাল (শনিবার) রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে ঘণ্টায় প্রায় ১২ কিলোমিটার এগিয়ে এসে একই এলাকায় (২১.৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। ‘বুলবুল’ গতকাল রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২৫ কি.মি. পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৩০ কি.মি. পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মধ্যরাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপক‚ল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করার কথা।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি.র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপক‚লীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপক‚লীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ল²ীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ মহবিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ল²ীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ সহ ঘন্টায় একশ’ থেকে ১২০ কি.মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সক্রিয় প্রভাব ও চাঁদের আকর্ষণে উপক‚লীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
অচল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার শঙ্কায় ১৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট। শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারওয়ার-ই জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শনিবার বিকেল ৪টা থেকে আজ রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি জানান, সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো ওঠানামা করেছে। বাকি কিছু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধের পর জেটি এবং ইয়ার্ডেও মালামাল উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোও জাহাজশূণ্য। বন্দর চ্যানেল থেকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে ছোট বড় সব জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত কোস্টার জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেটি থেকে জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো (মাদার ভেসেল) কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপক‚লে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব বড় জাহাজের ইঞ্জিন সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করে রাখা হয়েছে।
বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজ, মূল জেটি ও টার্মিনালের কার্গো, কন্টেইনার, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট রক্ষায় বন্দর কর্তৃপক্ষ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান বন্দর সচিব। বন্দরের কর্মীরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্রায়াত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ডিপোগুলোও জাহাজশূন্য। নৌপথে জ্বালানি জেল পরিবহন বন্ধ আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ভারী যানবাহনের জটলা নেই। বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মহাসড়কে আমদানি রফতানি পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলও কমে গেছে। পতেঙ্গা এলাকায় গড়ে উঠা বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোও বন্ধ রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ইপিজেড চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেডে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় কারখানা ও গুদামের রফতানিযোগ্য মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আছদগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির।
প্রবল জোয়ার, আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে চট্টগ্রামের উপক‚লীয় জনপদে প্রবল জোয়ার হানা দিয়েছে। জোয়ারের পানিতে ভাসছে উপকূলীয় জনপদ। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায়ও জোয়ারের পানি উঠেছে। নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুন্ড ও স›দ্বীপ উপক‚লে জোয়ারের উচ্চতা বাড়ছে। এ অবস্থায় সহায়-সম্বল রক্ষায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে উপক‚লের বাসিন্দারা। তারা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত ঘোষণার পর উপক‚লের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং শুরু হয়। বিকেলের পর থেকে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে থাকেন। বন্দরনগরীর পতেঙ্গা, দক্ষিণ হালিশহর, কাট্টলী, জেলার সীতাকুন্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও দ্বীপ উপজেলা স›দ্বীপের উপক‚লের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেন।
লোকজনকে সরাতে জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, রেডক্রিসেন্ট একযোগে কাজ করে। চট্টগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও দুই হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এক হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। মহানগরীর সাগর তীরবর্তী পতেঙ্গা, হালিশহর ও কাট্টলী এলাকায় স্কুল কলেজ ও মাদরাসা লোকজনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার বিতরণের পাশাপাশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *