বেরোবি প্রতিনিধি | ছাত্রলীগ নেতা জয়ছাত্রলীগের কথানুযায়ী আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস না করা এবং আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ না করায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্টের রুম এবং অফিস রুমে তালা লাগিয়েছে সেই হলের টর্চার সেলের কমান্ডার খ্যাত ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ-উল ইসলাম জয়।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার ইলাহী হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হল অফিস থেকে বের করে দিয়ে তালা দেয় ছাত্রলীগ নেতা জয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষেল শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১৫ সালে হল চালুর পর থেকে জয় ওই হলে অবৈধভাবে একাধিক কক্ষ দখল করে রয়েছেন।
হল সূত্র জানায়, পূর্ব আবেদনপত্র থেকে গত বৃহস্পতিবার হলের আসন বরাদ্দের জন্য সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন হল প্রভোস্ট। বৃহস্পতিবার রাতেই সাক্ষাৎকার দেওয়া শিক্ষার্থীদের আসন বন্টণ করে তালিকা দেওয়া হয়। সিট বরাদ্দে ছাত্রলীগের সঙ্গে পরামর্শ না করে আসন বরাদ্দ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়। আজ আসন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে আসলে তাদেরকে বের করে দিয়ে প্রভোস্ট কক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে ভর্তি স্থগিত করে দেয় টর্চার কমান্ডার জয়সহ ছাত্রলীগ নেতারা।
সূত্রে জানা যায়, গত ৩১শে অক্টোবর হলের আসন বরাদ্দ দেওয়ার সময় হল প্রভোস্ট শাহীনুর রহমান ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কোন ধরণের পরামর্শ ছাড়াই শিক্ষার্থীদেরকে আসনের বৈধতা দেন।
আরও জানা যায়, শহীদ মুখতার ইলাহী হলে ইতোপূর্বে কোন প্রভোস্ট ছাত্রলীগ নেতা টর্চার কমান্ডার জয়ের পরামর্শ ছাড়া কোন আসন বরাদ্দ দিতে পারেননি।
হল অফিস সূত্র জানায়, হলে মোট ২শ ৪০টি আসনের মধ্যে বৈধ আসন সংখ্যা ১শ’ ১৮ টি। বাকি আসনগুলোতে জয় এবং ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী তুলে মাসিক চাদা আদায় করেন বলে অভিযোগ আছে।
কিন্তু এবার হল প্রভোস্ট তাদের সঙ্গে কোন কথা ছাড়াই আসন বরাদ্দ দিলে তারা অফিস কক্ষে তালা দিয়ে হলে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ-উল ইসলাম জয়কে ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া জানান, আমি ঢাকায় ব্যস্ত আছি। তালা লাগানোর বিষয়টি শুনেছি। কেন লাগিয়েছে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।
এবিষয়ে হল প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) মো: শাহিনুর রহমান জানান, তালা দেয়ার বিষয়টা শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা সুরাহা করা হবে।