দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয় সারাদেশ


ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

আজারবাইজানের শিক্ষামন্ত্রী জেহুন আজিজ ওগলু বেরানভ এবং আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো.আল্লামা সিদ্দিকী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

বিমানটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটি ২৫ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে এ সম্মেলনে যোগ দেন।

শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে যোগ দেন।

তিনি এতে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে ‘বান্দুং নীতিমালা’ সমুন্নত রাখা শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। এর আমাদের দেশ এবং এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে তাদের নিজ ভূমিতে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়াই হচ্ছে এই সংকটের একমাত্রা সমাধান।

প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সেন্টারের মধ্যাহ্নভোজ হলে প্রতিনিধি দলের প্রধানদের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজ ও প্লেনারী সেশনে যোগ দেন।

পরে সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন।

তিনি হিলটন বাকুতে আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের নৈজভোজে অংশ নেন।

ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে বৈঠক করেন।

এই সফরে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

পরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা হোটেল হিলটন বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তিনি বৃহস্পতিবার বাকুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *