সম্রাট বিপুল নগদ টাকা সরিয়ে ফেলেছেন

Slider জাতীয় সারাদেশ


ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানতে পেরেছে, তাঁর কাছে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা রয়েছে।

রমনা থানায় করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ১০ দিন এবং তাঁর সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমান দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সম্রাটের সাত দিন এবং আরমানের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের দুই দিন পার হয়েছে। র‍্যাব-১ কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানিয়েছেন ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি থেকে তিনি বিপুল টাকা উপার্জন করেছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর তিনি কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে নগদ টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু কোথায়, কার কাছে রেখেছেন সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না তিনি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সম্রাটের ক্যাশিয়ার হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি আরমান। ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির টাকার বড় অংশ আরমানের কাছে রাখতেন সম্রাট। সম্রাটের টাকা সম্পর্কে ও আরমানের কর্মকাণ্ড জানতে গত সোমবার আরমানকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, সম্রাট কোথায় ও কার কাছে টাকা রেখেছেন, সে বিষয়ে আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

৬ অক্টোবর ভোরে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়ায় আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর সম্রাটের তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দিন দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। এই ভবনে সম্রাটের কার্যালয় ছিল। সেখান থেকে ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গ্রেপ্তারের পর দুজনকেই যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক এখন পর্যন্ত সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। দুদক সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সম্রাটের ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার নথিপত্র পাওয়া গেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করলে কমিশন প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। কারণ, যে বিপুল অর্থসম্পদ তাঁর রয়েছে, সেই তুলনায় দুদকের পাওয়া এই তথ্য খুবই কম। তাই সম্রাটের আরও সম্পদের তথ্য বের করতে দুদক ২৪টি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে চিঠি দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *