বরিশাল| সাম্প্রতিক ইস্যুতে ভোলার আলোচিত সেই বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র ভগ্নিপতি বিধান চন্দ্র মজুমদারকে ডিবি পরিচয়ে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে একটি গ্রুপ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে উপজেলার দুলারহাট থানার রোদেরহাট বাজারের দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে স্বজনরা জানান। বিধানের বাড়ি একই এলাকায়।
বিপ্লবের আইডি থেকে আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর নামে যে আপত্তিকর চ্যাট হয়েছিল তা নিয়ে তোলপাড় চলে চরফ্যাশনে। এ ঘটনায় তৌহিদী জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন চারজন। যদিও বিপ্লব এবং প্রশাসন দাবি করছে, বিপ্লবের আইডিটি হ্যাক হয়েছিল।
স্বজনদের অভিযোগ, বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র ভগ্নিপতি বিধান চন্দ্র মজুমদারকে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার রোদেরহাট বাজারের দোকান থেকে রাতে ডিবি পরিচয়ে একটি গ্রুপ তুলে নিয়ে যায়। তবে ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কোনো দল ওই অভিযানে যায়নি।
বিষয়টি তারা জানেন না।
বাজারের দোকানিরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি কালো গ্লাসের মাইক্রোবাস বাজারে আসে। ওই মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন নেমে বিধানকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। ওই বাজারে বিধানের ছোট আকারের জুয়েলারি দোকান রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমোহন পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল আলম টুলু।
দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, পুলিশের কোনো অভিযান ছিল না। তবে লোকমুখে তিনি শুনেছেন বিষয়টি।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়েছে। অন্যদিকে আটক তিনজন বর্তমানে ভোলার জেলহাজতে রয়েছেন। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান।