দাবি না মানলে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের

Slider জাতীয় শিক্ষা


ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা এবার দফা দাবি দিয়েছেন। সব দাবি না মানলে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বুধবার সকালে বুয়েটের শহীদ মিনারে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।

বুধবার সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়েছে। বুয়েট থেকে হত্যাকারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাসহ আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসতে থাকেন। এরআগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেন।

সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে সমাবেশে নতুন করে ২ দফাসহ ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। নতুন দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে দাবিগুলোর বিষয়ে অফিসিয়াল নোটিশ দেওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে স্বশরীরে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহি করা। মঙ্গলবারের দেওয়া আট দফা দাবি হলো- আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা, ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পরও ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি তা মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জবাব দেওয়া, আবরার হত্যা মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বহন করা, এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার করা, ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করা এবং বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা। এ ছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে বুয়েটে সব ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। ১০ দফা দাবি উপস্থাপনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বুয়েটের শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। একই সময়ে এ কর্মসূচি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালনের আহ্বান জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সোমবার বিকেল থেকেই উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস। আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান বুয়েটের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। ঢাবি ও বুয়েট ক্যাম্পাসে পূজার ছুটি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নেন। তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *