‘আশা করি সরকার পক্ষ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করবে না’

Slider জাতীয় বাংলার আদালত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, প্যারলে নয়, আদালতের জামিন আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তিনি বলেন, আমরা আবারো খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করব। আশা করি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিরোধিতা করা হবে না। আমরা সরকারের কথার সঙ্গে কাজের মিল দেখতে চাই।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাকক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জয়নুল আবেদীন। এ সময় সমিতির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ও গোলাম রহমান ভুইয়া, সাবেক কোষাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, বর্তমান সহসম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ ছাড়াও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম খান সজল, মীর্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমানসহ বিএনপিপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ১/১১র সরকারও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্য প্যারলের নাম করে বিদেশ পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যা জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একইভাবে বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, সাতজন সংসদ সদস্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেক অসুস্থ। তাকে যে মামলায় আটকে রাখা হয়েছে সেই মামলায় তিনি নির্দোষ। খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি প্যারলের কোনো আবেদন করব না এবং করি নাই। আমি জামিন পাওয়ার হকদার।’ আমরা আইনজীবীরাও তাই মনে করি। কিন্তু খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্যারলসংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার একদিকে বলছে যে, আদালত জামিন দিলে তাদের কোনো আপত্তি নাই। অথচ আমরা যখন আদালতে জামিন আবেদন শুনানি করি তখন সরকার পক্ষ থেকে জোরালোভাবে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। এ কারণেই খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না। যদিও এই ধরনের অন্য কোনো মামলায় আমরা কখনো সরকার পক্ষকে এভাবে জোরালো আপত্তি করতে দেখিনি।

আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, অতি সম্প্রতি আমরা কয়েকবার জামিন আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছিলাম। প্রতিবারেই সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো আপত্তি করা হয়েছে। আমরা পুনরায় জামিনের জন্য আদালতে যাব। আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হবে। এরপর আপিল বিভাগে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিনের আবদেন করা হবে। আমরা আশা করি, সরকারের পক্ষে থেকে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হবে না। দুই মামলা জামিন পেলে তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *