জিয়াদ উদ্ধারে সর্বশেষ চেষ্টা

Slider

jihadশাহাজানপুর রেলওয়ে কলোনির পরিত্যক্ত পাইপের মধ্যে পড়ে যাওয়া শিশু জিয়াদ এখনো উদ্ধার হয়নি। তাকে উদ্ধারে সর্বশেষ চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

পাইপের ভিতরে এক স্বেচ্ছাসেবি নামার উদ্যোগ নিলেও ফায়ার সার্ভিস তাকে নামতে দেয়নি।

মূল পাইপের মধ্য থেকে দুই ইঞ্চি ব্যাসের সরু পাইপ তুলে ফেলার পর সরাসরি ওই পাইপে নামার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বশির আহমেদ নামের এক স্বেচ্ছাসেবি।

এখন পাইপের মধ্যে অত্যাধুনিক ক্যামেরা নামিয়ে শিশুর অবস্থান শনাক্ত করে তাকে তোলার চেষ্টা করবে ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পাইপের গভীরতা ৬০০ ফুট। এর ব্যাস ১৭ ইঞ্চি।

তাকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে উদ্ধারকর্মীরা ওই পাইপের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করেছেন। শিশুটিকে খাবারও দেওয়া হয়েছে। গর্তের ভেতরে দুটি টর্চলাইট ও ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা নামানো হয়েছে।

কলোনির বাসিন্দারা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে খোলা পাইপের ভেতরে পড়ে যায়। জিয়াদ এই কলোনিতেই থাকে। তারা তিন ভাই-বোন। বাবা নাসিরউদ্দিন মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কর্মচারী।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পানির পাম্পটি অনেক দিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তা সচল করার কাজ শুরু করেছে।

ফায়ার সার্ভিস প্রধান কার্যালয়ের ডিউটি অফিসার ভজন কুমার সরকার স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, খেলতে গিয়ে শিশুটি পড়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রথমে রশি নামিয়ে ও পরে তার হাতে বা পায়ে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করা হয়। সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর প্লাস্টিকের ব্যাগ ও পরে চটের বস্তা নামানো হয়। কিন্তু এ উদ্যোগও ব্যর্থ হয়।

এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি চটের বস্তা বিশেষভাবে সেলাই করে রশি বেঁধে নামিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে ওপরে তোলার জন্য। কিন্তু তাও ব্যর্থ হয়। সবশেষ মূল পাইপের মধ্য থেকে সরু পাইপ টেনে তোলার পর এখন সরাসরি জিয়াদকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *