ধুঁকছে বাংলাদেশ

Slider খেলা

শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও লাঞ্চ ও বৃষ্টি শেষে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৩০ রানের জুটি গড়ে চায়নাম্যান জহির খানের বলে লিটনকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার নাইজেল লং। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লিটন (৯)। জীবন কাজে লাগাতে না পেরে সেই জহিরের বলেই এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। চমক দিয়ে তিনে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১২ রান করে সেই জহির খানের বলেই আত্মঘাতী শটে আউট হন। বিশাল রান তাড়ায় নেমে ৫২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে এখন ধুঁকছে বাংলাদেশ।

মুশফিকুর রহিম আজ ‘ডিপেন্ডেবল’ হয়ে উঠতে পারেননি। রশিদ খানের বলে ২৩ রানে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮০ রান।

৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস সূচনা করেন লিটন দাস আর সাদমান ইসলাম। বিনা উইকেটে ৩০ রান তুলে দুপুর ১টায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আধঘণ্টা পর খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লাঞ্চের মাঝেই নেমে আসে বৃষ্টি। আসলে বৃষ্টি ছাড়া বাংলাদেশের পরাজয় এড়ানোর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই বাংলাদেশের আজ বড় সমর্থক বৃষ্টি।

আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে পৌনে তিন ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। এর কিছু সময়ের মাঝেই শেষ দুই ব্যাটসম্যান ইয়ামিন আহমেদজাই (৯) এবং জহির খান (০) ফিরলে ২৬০ রানে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। আফসার জাজাই অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা আফগানিস্তান গতকাল শুরুতেই বিপদে পড়েছিল। দলীয় মাত্র ৪ রানে পরপর দুই বলে দুই শীর্ষ ব্যাটসম্যান ইহসানুল্লাহ (৪) এবং প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহ (০) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সৌজন্যে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি।

দলীয় ২৮ রানে হাসমতুল্লাহ শহিদীকে (১২) সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করেন নাইম হাসান। শুরুর এই সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জারদান এবং আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন গড়েন ১০৮ রানের জুটি। ১০৮ বলে ৫০ রান করা আসগরকে তাইজুল ইসলাম ফেরালে এই জুটির পতন হয়। তরুণ অফ স্পিনার নাইম হাসানের বলে মুমিনুল হকের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় ইব্রাহিম জারদানের ২০৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ নবি ৮ রান করে মিরাজের বলে ধরা পড়েন মুমিলুলের হাতে। ২২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা অধিনায়ক রশিদ খান শিকার হন তাইজুল ইসলামের। এর আগে আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে ২০৫ রানেই অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। তাছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে কখনোই রান তাড়া করে জিততে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *