ঘূর্ণিপাকে বিএনপি

Slider জাতীয়


ঢাকা: রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে বিএনপি। অনেকটা ‘পথহারা পথিকের’ অবস্থা। প্রতিষ্ঠার চার দশক পর এবার চতুর্থ দফা গভীর সংকটে দলটি। তিন দফা সংকট কাটিয়ে ক্ষমতাসীন হলেও এবার কঠিন পরীক্ষার মুখে। দেড় বছর কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডনে। সেখান থেকে টেলিফোন-স্কাইপিতে দল পরিচালনা করছেন তিনি। দুই শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে চরম নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে বিএনপি। পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে ঐক্যফ্রন্ট গঠন, সংসদে যোগ দেওয়াসহ নানা কলাকৌশল গ্রহণ করলেও ঘূর্ণিপাক থেকে বের হতে পারছে না দলটি।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পর শপথ নিয়ে দলটির এ করুণ পরিণতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা এক যুগের নাজুক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা। মোটাদাগে চারটি লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। এক. খালেদা জিয়ার মুক্তি। দুই. আগামী নভেম্বরের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে দল ও অঙ্গসংগঠনের সব কমিটি গঠন। তিন. দল প্রতিষ্ঠার ৪২তম বছরেই জাতীয় কাউন্সিল করা। চার. সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়িয়ে সংসদের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামারও প্রস্তুতি।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে এবারও দু’দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৯৭৮ সালের এই দিনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে দলটির হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দুবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে দলটি। বর্তমানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে দল অনেকটা নেতৃত্বশূন্য। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও চিন্তিত দলের নেতাকর্মীরা। এ সংকট নিয়ে দিশেহারা তারা। তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন থাকলেও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল দলটিকে কীভাবে আবার শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্নেষণ করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা বলছেন, বর্তমানে বিএনপির সংকট উত্তরণে সবার আগে দলটির নেতৃত্ব ঠিক করা জরুরি।

অবশ্য ১৯৮১ সালে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিহতের পর প্রথমবার সংকটে পড়ে বিএনপি। নব্বই দশকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পরও দ্বিতীয়বার গভীর সমস্যার মুখে পড়ে দলটি। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াসহ বিপুলসংখ্যক শীর্ষ নেতা কারাবন্দি হলে তৃতীয় দফা সংকটে পড়ে। তিন দফাই ভাঙনের মুখে পড়ে ছিল দলটি। এভাবে নানা সংকট ও ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে বিএনপি।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, বিএনপি দেশের অন্যতম একটি বৃহৎ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিকে বারবার নির্মূল করার ষড়যন্ত্র করেছে। কেউ তা পারেনি। গত একচল্লিশ বছরে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি বেশ কয়েকবার সংকটের মুখেও পড়েছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী এ দলের প্রতি মানুষের অবিচল আস্থা রয়েছে। অতীতেও বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সব সংকট কাটিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। আবারও আসবে।

ব্যর্থ হচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা : ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিপর্যস্ত হওয়ার পর প্রায় এক যুগেও নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পর বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ। পুলিশের শর্ত মেনে কয়েকটি সভা-সমাবেশ করছেন তারা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং দলীয় কার্যালয়ে প্রতিদিন নামকাওয়াস্তে ‘সংবাদ সম্মেলনে’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিও। অবশ্য এখন প্রতি শনিবার গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি সংবাদ সম্মেলন করে দলের অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হচ্ছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে শীর্ষ নেতা মেনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেও ফলাফল শূন্য। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েও ফল বিপর্যয়ে লণ্ডভণ্ড ফ্রন্টটি। কারচুপির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করলেও পরে সংসদে যোগ দিল দলটি। সংসদে যাওয়ার ‘বিনিময়ে’ দলের চেয়ারপারসনের কারামুক্তির আশাও দূরাশায় পরিণত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও গ্রেনেড হামলার মামলাসহ কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটেও চলছে ব্যাপক টানাপড়েন। ঐক্যফ্রন্ট থেকেও বেরিয়ে গেছে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ। আবার জোটের অন্যতম শরিক পৃথক জোট করার ঘোষণা দিয়েছে এলডিপিও।

এবারও দলের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে নানা কলাকৌশল নিয়েছে দলটি। শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসে স্কাইপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আবার উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অন্ধকারে রেখেও এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ নিয়ে দলের ভেতর রয়েছে নানা ক্ষোভ ও অসন্তোষ। বিশেষ করে দলের পাঁচ এমপির শপথ নেওয়ার একক সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে নেননি দলটির সিনিয়র নেতারা।

এদিকে, বিএনপি বা জোটের পুনর্নির্বাচনের দাবি এর আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির এমপিদের সংসদে যোগ দেওয়ার পর ওই দাবির আরও গুরুত্ব কমে গেছে সরকারের কাছে। তারপরও এ দাবিতেই আগামী চার বছর রাজনীতি করে যাওয়ার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে তারা।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেছেন, আজ বিএনপি সংকটে, গণতন্ত্রও সংকটে, সরকারি দল সংকটে এবং পুরো জাতিই সংকটে। এ সংকট উত্তরণে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে। গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। তবে বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আগ্রাসী ভূমিকা অতীতে ছিল না- শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে দাঁড়াতে এটি বড় সমস্যা।

বদিউল আলম আরও বলেন, বিএনপির অন্যতম একটি সংকট নেতৃত্বের। জনগণের আস্থা অর্জনে বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। এ নেতৃত্বকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হতে হবে। শ্যাডো কেবিনেট প্রক্রিয়া করা দরকার। তারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে কারা দেশ পরিচালনা করবেন, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। বিগত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- তাও তারা স্পষ্ট করতে পারেনি। এখন সংসদে কার্যকর ও দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু দলীয় প্রধানের মুক্তি নয়, সরকারের জনবিরোধী কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করতে হবে।

নানামুখী সমস্যায় থাকা দলটি আগামী দিনে কীভাবে পথ চলবে, তা নিয়ে চলছে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা। দলটি খালেদা জিয়ার মুক্তিকে প্রাধান্য দিলেও তা কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে। বিশেষ করে দেড় বছরে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চালিয়ে কার্যকর তেমন কিছু করতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে হিসাব-নিকাশ করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

মুখে বিএনপি নেতারা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী দাবি করলেও বারবার উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দল পুনর্গঠনের কাজও শেষ করতে পারেনি। ব্যক্তিস্বার্থে নেতাদের মধ্যেও রয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল। কাউকে কাউকে সরকারের ‘চর’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এতে অবিশ্বাস ও সন্দেহ প্রবণতা বাড়ছে। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু রাজধানী ঢাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। সাংগঠনিকভাবে দু’ভাগ করে কমিটি গঠন করলেও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বড় কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি ঢাকা মহানগর বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সমকালকে বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় বড় রাজনৈতিক দল। বর্তমানে সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনে দলটি কিছুটা সংকটের মধ্যে। এ সংকট সব সময় থাকবে না। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দলকে গুছিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কীভাবে এগোবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল গোছানোর পর তারা কর্মসূচি দেবেন। অতীতের মতো ধীরে ধীরে তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অবশ্য আন্দোলন করার মতো বিএনপির সেই রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সক্ষমতা নেই দাবি করে এসব হুমকি-ধমকিকে মোটেই আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকারি দলের নেতারা বলছেন, রাজপথে কিছুই করার ক্ষমতা বিএনপির নেই।

নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতন্ত্র চর্চার উদ্যোগ : নানা হিসাব-নিকাশ করে আপাতত দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এ ক্ষেত্রে দলে গণতন্ত্রের চর্চা বাড়াতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব কমিটির শীর্ষ পাঁচ পদে নির্বাচন বাধ্যতামূলক করেছে দলটি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ব্যক্তিগত পছন্দের ধারা এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি পুনর্গঠন শেষ হবে বলে আশাবাদী নেতারা। এরপরই শুরু হবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি।

দেশে গণতন্ত্র নেই- বক্তৃতা-বিবৃতি, আন্দোলন-সংগ্রামে এমন কথাই ঘুরেফিরে বলে আসছেন বিএনপি নেতারা। তবে নিজ দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা কতটা আছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতো প্রশ্ন আছে খোদ বিএনপি নেতাদের মধ্যেই। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দাবি, তারা গণতান্ত্রিক দল, তাই সব সময় গণতন্ত্রের চর্চাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তারা সব সময়ই গণতান্ত্রিক চর্চা করে আসছেন।

বিগত বছরগুলোতে যে কোনো কমিটি গঠনে জটিলতা এড়াতে পছন্দের ব্যক্তিকেই মনোনীত করতে দেখা গেছে হরহামেশা। এ ধারা থেকে বের হতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন চাইছে, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। এরই মধ্যে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কমিটি হয়ে সেভাবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হবে কাউন্সিলে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্যোগে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এতে দল শক্তিশালী হবে।

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে প্রশ্ন, তবুও পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা : বিএনপি নিজেদের নেতৃত্বশূন্যতা অনুধাবন করে আবারও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়েই যুগপৎ কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করছে তারা। তবে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর সঙ্গ ছাড়ার শর্তসহ আরও কিছু ইস্যুতে এ চেষ্টাও কতটুকু সফল হবে- তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে আপাতত কোনো আগ্রহ নেই দলটির। তারপরও জাতীয় ঐক্যের পরিধি বাড়াতে প্রাথমিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

কর্মসূচি : ভোর ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন। বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা। সারাদেশে সব ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করবে। কাল ঢাকাসহ সারাদেশে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হবে। এ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *