ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সব রকম সাংস্কৃতি বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জাতীয় পর্যায়ে একটি স্লোগান চালু করেছে। তা হলো ‘সে নো টু ইন্ডিয়া’। অর্থাৎ ভারতকে না বলুন। দুই দেশের বিনোদন শিল্পের মধ্যে যেসব যৌথ কার্যক্রম আছে তাও সাংস্কৃতিক বিনিময় নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক স্পেশাল সহকারী ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেছেন, ভারতীয় সব রকম ‘কনটেন্ট’ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পেমরা) এর প্রেক্ষিতে নজরদারির নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে ভারতীয় ‘ডিটিএইচ’ সামগ্রী বিক্রি না হয়।
সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ করে তাদের সামনে তিনি এসব কথা বলেছেন। এ সময় ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেছেন, কাশ্মীরে ভারতীয় সম্প্রসারণ এটাই প্রমাণ করে যে, কায়দে আজমই ঠিক ছিলেন। তার ভাষায়, এটা হলো দুই আদর্শের সংঘাত। একদিকে, আমরা আমরা ধারণ করি উদার ও সমৃদ্ধির আদর্শ। অন্যদিকে ভারতে কট্টরপন্থি সরকার প্রদর্শন করেছে কঠোর অবস্থান, টেরোরিস্ট, ফ্যানাটিক এবং মুসলিম বিরোধী আদর্শ। তিনি আরো বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ছলনা দিয়ে পাকিস্তানি যুব সমাজের মানসিকতাকে দূষিত করে দেয়া হচ্ছে। ভারতের মিথ্যা প্রচারণার লাগাম টেনে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি আরো জানান, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সব ফ্রন্ট থেকে ভারতের হিন্দুত্ববাদী আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করবে পাকিস্তান।