জাতীয় জলবায়ু কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য দাতা সংস্থার অনুদানের অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজেদের অর্থায়নেই তা করার আহ্বান জানিয়েছেন জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠনের পর্যবেক্ষকরা।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি সহায়ক চুক্তি (লিমা) ঘোষণা উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইক্যুইটি বিডি, বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্টস ফোরাম, সিসিডিএফ, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ, সিএসআরএল, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, পিআরডিআই।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমাদের বার্ষিক ২২ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব এবং ১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স উৎস রয়েছে। সেখানে মাত্র ১.২ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বা শিথিল ঋণের জন্য বসে থাকার যুক্তি নেই। জাতীয় জলবায়ু কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নিজেদের অর্থায়নেই তা করতে হবে।
জলবায়ু সম্পর্কিত জাতীয় পরিকল্পনা এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে অনুদানের প্রতি কোনো নির্ভরতা না থাকে। রাজস্ব আয় বাড়িয়ে, প্রশাসনিক ব্যয় যৌক্তিক করে এবং দুর্নীতি নির্মূল করলে অবশ্যই জলবায়ু পরিকল্পনা শতভাগ হ্রাস পাবে।
বক্তারা প্রস্তাব দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিকল্পনা, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘জাতীয় জলবায়ু কমিশন’ গঠন করা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইক্যুইটি বিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন মাসুম।