গাজীপুর: ঈদের ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেড়ানো শেষ করে নিজ কর্মস্থল গাজীপুরের বাঘের বাজার ফেরার জন্য ময়মনসিংহ থেকে ‘আলম এশিয়া’ (ঢাকা মেট্রো:ব ১১-৬৩৬৬) বাস নামের একটি পরিবহনে ওঠেন সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রী-পারুল।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাঘের বাজারের ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় বাসের হেল্পার-সুপারভাইজার কে পরিচয় দেন (সালাউদ্দিন) তিনি নিজেও একজন চালক। কিন্তু ভাড়া কম না রেখে বরং বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে বাসে থাকা হেল্পার-সুপারভাইজার প্রকাশ্যে হুমকি দেয় বাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দিবে সালাউদ্দিনকে। সালাউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজারে থাকা তার স্বজন জামাল কে ফোন করে বলেন, বাসে তার সাথে গাড়িতে থাকা হেল্পার-সুপারভাইজার খারাপ ব্যবহার করেছে। সে যেন বাঘের বাজারে উপস্থিত থাকে।
তখন বাসটি বাঘের বাজার এর কাছাকাছি চলে আসলে সালাউদ্দিনকে বাসের হেল্পার-সুপারভাইজার লাথি মেরে মহাসড়কে ফেলে দেয়। বাসে থাকা সালাউদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়ে বাস চলতে থাকে। কিন্ত সালাউদ্দিন তাৎক্ষণিক সড়ক থেকে উঠে বাস থামানোর জন্য গতিরোধ করে, এমন সময় বাস সালাউদ্দিনের শরীরের উপরে তুলে দিয়ে সালাউদ্দিন কে হত্যা করে। ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ। চালক ও হেলপার-সুপারভাইজার পলাতক।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন বলেন, বাসের ভেতরে ‘ড্রাইভার’ পরিচয় দিয়ে সালাউদ্দিন ভাড়া কিছু টাকা কম রাখার জন্য অনুরোধ করে। এই নিয়ে সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে চালকের সহযোগীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায় বাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে বাসের নিচে চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সালাউদ্দিন মৃত্যু হয়।