দুঃস্থদের চালেও দুর্নীতির অভিযোগ

Slider গ্রাম বাংলা

আসন্ন ঈদুল ফিতরের দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণেও দুর্নীতি শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে চাল বিক্রি করে দেয়াসহ মাপে কম এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে। আবার দলীয় নেতাকর্মীর নামে বরাদ্দ শিল্পগুলোও দুঃস্থদের না দিয়ে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত জনপ্রতি ১৫ কেজি চালে অনিয়ম করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি গরীব মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় দুই লাখের বেশি দুঃস্থ পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ পাবার পরই চেয়ারম্যান-মেম্বরদের দুর্নীতি শুরু হয়। ২৮ মে র‌্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের মিরপুর মহল্লার এসএস ট্রেডার্সের একটি গোডাউন থেকে ৮৭৭ বস্তা চাল উদ্ধার করে এবং র‌্যাব দুই কালোবাজারিকে আটক করে।

চালগুলো বেলকুচি উপজেলার দরিদ্রের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তাড়াশ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দুস্থদের জন্য ৬৯ বস্তা চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কাউন্সিলর বকুল হোসেন ৭ বস্তা বিতরণ করে ৬২ বস্তা কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়ার সময় উপজেলা প্রশাসন হাতেনাতে জব্দ করেন। ৩০ মে সদরের একটি গোডাউন থেকে ৬৬৫ বস্তা চাল সহকারি কমিশনার (ভূমি) জব্দ করেন। এছাড়াও উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ও রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নে মাপে কম দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছ থেকে দলের দুঃস্থ কর্মীদের নামে চাল নিয়ে সেই চাল ডিলারদের কাছে মাত্র ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে প্রকৃত দুঃস্থরা বঞ্চিত হয়ে পড়ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, দুঃস্থদের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল সুষ্ঠভাবে বিতরণের জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়। তারপরেও অনেক জায়গায় দুর্নীতি হয়। আবার দেখা যায় অনেক দুঃস্থ ব্যক্তি চাল নিয়েই বিক্রি করে দেয়। তাই পুরোপুরি দুর্নীতি রোধ করা কঠিন। এজন্য চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ সকলের মনমানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি সহযোগিতা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *