ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০ প্রস্তাব

Slider সারাদেশ


ঢাকা: জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক পথকে ফিটনেসবিহিন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিক্সার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একইসঙ্গে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ২০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজ সোমবার গণমাধ্যামে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদ আনন্দ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহুলোকের প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ থেকে রেহাই পেতে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘগতি ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালুর দাবি জানান তিনি।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা সক্ষম হবে মনে করে সংগঠনটি। এ লক্ষ্যে সংগঠনটি তাদের দেয়া ২০ দফা প্রস্তাবনা অনুসরনের দাবি জানিয়েচে।

প্রস্তাবনাগুলো হলো, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহিন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিক্সার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা; মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা; গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানা রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা; টোল প্লাজার সবক’টি বুথ চালু করা ও দ্রুত গাড়ি পাসিং এর ব্যবস্থা করা; মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করা; দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা; মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত করা; অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা; অযান্ত্রিক যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রীবহণ নিষিদ্ধ করা; ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা; লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা; বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পদচারী সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা; ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা; ফেরীঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন সমূহে দ্রুত গাড়ি পাসিং- এর ব্যবস্থা করা; যাত্রা বিরতিকালে খাবার হোটেলে যাত্রীসাধারণ যাতে মানসম্পন্ন সাশ্রয়ীমূল্যে সেহেরী ও ইফতারি গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা; দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা; অপ্রত্যাশিত যানজটের কবলে আটকে পড়া যাত্রীদের টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা রাখা; ইফতারির সুবিধার্থে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা; জাতীয় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন, মিডিয়ান গ্যাপ ও বাঁকে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা রাখা; সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *