সেনবাগ (নোয়াখালী): মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সন্ত্রাসীদের উপর্যপুরী চুরিকাঘাতে সেনবাগের কাজিরখিলের শেখ মাহমুদ হোসেন যুবায়ের (১৭)কে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জন কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সে সেনবাগ উপজেলার কাজিরখিল গ্রামের শ্রমিকলীগ নেতা মোশারফ হোসেন বেলালের পুত্র। তারা চৌরাস্তার আপন নিবাসে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( বেগমগঞ্জ সার্কেল) কার্যালয়ের পাশের মসজিদ থেকে মঙ্গল রাত সাড়ে নয়টায় তারাবির নামাজ পড়ে বের হলে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আবিদের নেতৃত্বে ৮/১০ মিলে যুবায়েরকে চুরিকাঘাত করতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে যুবায়ের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
রাতেই নোয়াখালীর ডিবির পরিদর্শক ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত যুবায়ের চৌমুহনীর ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়টি পারিবারিবারিক ভাবে নিশ্চিত করেছে।
নিহতের পিতা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ মোশারফ হোসেন বেলাল দুপুরে জানান, স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে আপন নিবাসের খন্দকার ভবনে বসবাস করছেন কয়েক বছর ধরে। নিহত যুবায়ের ২য় সন্তান। স্থানীয়রা ডা: সিরাজের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে চলতো সন্ত্রাসীদের আড্ডা, ইয়াবাসহ নানা অপরাধ বানিজ্য। উঠতি বয়সের যুবায়ের মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জোর প্রতিবাদ করেছিলো। ২০১৭ সালের শেষ দিকে সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্দ হয়ে যুবায়েরদের বাসায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় যুবায়েরের পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে ওই সময় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সন্ত্রাসী আবিদের নেতৃত্বে ৮/১০ চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রতিবাদী যুবায়েরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে হিসেবে তারাবির নামাজের পর সন্ত্রাসীরা যুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পিতা শেখ মোশারফ হোসেন বেলাল।
মাদক বিরোধী নেতৃত্ব দেয়ায় যুবক যুবায়েরের হত্যার ঘটনায় পরিবার, পরিজন ও সেনবাগের কাজিরখিলে চলছে শোকের মাতম। চৌমুহনীতে প্রথম যানাজা ও আজ বিকেল সাড়ে ৪ টায় সেনবাগের কাজিরখিল গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় যানাজা শেষে পারিবারিবারিক কবস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।