ঢাকা: অভিনেতা পীযুষ বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপরে কাপড় পড়াকে জঙ্গিপনার লক্ষণ মন্তব্য করার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, পীযুষরা বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে নাস্তিক্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। তিনি অবিলম্বে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার কারণে পীযুষ বন্দোপাধ্যায়কে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসিচব এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, এদেশের কোটি কোটি মানুষ টাখনুর ওপরে পোশাক পরেন এবং সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক মানুষ আল্লাহর রাসুলকে ভালোবেসে তার সুন্নাতের অনুসরণ করতে গিয়ে মুখে দাড়ি রাখেন। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামের একটি ভূঁইফোঁড় সংগঠনের ব্যানারে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অসদুদ্দেশ্যে রাসুল সা.এর সুন্নাত ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান দাড়ি রাখা ও টাখনুর ওপর কাপড় পরিধান করাকে জঙ্গিপনার লক্ষণ বলে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। তিনি দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গী লক্ষণ’ এধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, কথিত জঙ্গি ইন্ডিকেটর বিষয়ে তাদের হিংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি, আক্রমণাত্মক বয়ান ও বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের ধরন দেখে সহজেই বুঝা যায় রাসুলের সুন্নাত দাড়ি ও ইসলামের বিধান টাখনুর উপর কাপড় পরিধানকে তারা জেনেবুঝেই আক্রমণ করেছে। তবে লজ্জা ও পরিতাপের বিষয় হলো, রাসুলের চিহ্নিত দুশমনদের সহযোগী ও দোসর হিসেবে বরাবরের মতোই আবির্ভূত হয়েছেন একজন দাড়িওয়ালা বিতর্কিত মাওলানা। শাহবাগ থেকে গণভবন পর্যন্ত সবখানে তিনি ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীরর এজেন্টের ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে যত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যত রকমের কথিত জঙ্গি গ্রেফতার বা নিহত হয়েছে তারা সকলেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া। সুন্নাতে রাসূলের পরিপূর্ণ অনুসারী কোন আলেম বা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। পীযুষরা বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে নাস্তিক্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এই বিজ্ঞাপন প্রচার করে ইসলাম ও মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
রাসূল (সা.) এর সুন্নাত নিয়ে কোন কুলাঙ্গার বেয়াদবি করার স্পর্ধা দেখাবে, আর মুসলমানরা নিরবে বসে থাকবে তা কখনো হতে পারে না। এই বেয়াদবদের কঠোর শাস্তি সোচ্চার হতে হবে। একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ঈমান ও আমল নিয়ে দৃষ্টতা দেখাতে পারে না। তিনি অবিলম্বে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার কারণে পীযুষ বন্দোপাধ্যায়কে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।