জেলা প্রশাসকের জমির খবর নেই তহসিলদারের কাছে!

Slider গ্রাম বাংলা

রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে বদনীভাঙা গ্রামে নঈম উদ্দি চালা থেকে দিনে পর দিন ১ নং খতিয়ানের সরকারী জমি থেকে মাটি খেকোরা কয়েকটি ভূমিহীন পরিবারে বসত ঘরের পাশ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরেও নিজের বিটাবাড়ী রক্ষা করতে পারেনি, ভূমিহীন কয়েকটি পরিবার।

সর্বশেষ বিষয়টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হওয়ার পর নজরে আসে প্রশাসনের। কোমড় বেঁধে নামে জেলাপ্রশাসক ও বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। এই নিয়ে যত জটিল সমীকরণ,

শ্রীপুর রেঞ্জের সিমলাপাড়া বিট কর্মকর্তা মাহামুদুল হক মুরাদ বলেন, বদনীভাঙা গ্রামের নঈম উদ্দিনেরব চালায় বন বিভাগের জায়গা ছাড়াও সরকারের ১ নং খতিয়ানের অনেক জায়গা রয়েছে।

আর ভুক্তভোগী যে পরিবারের বসত ঘরের জায়গার পাশ থেকে মাটি কেটে ৪০ ফুল গভীর করে নিয়েছে বনখেকোরা সেই জায়গাটি কোন ভাবেই বন বিভাগের জায়গা না। এটি সরকারের ১ নং খতিয়ানের জায়গা।

অপর দিকে মাওনা ভূমি অফিসের তহসিলদার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ার নিয়ে যাচাইবাচাই করে দেখেছি নঈম উদ্দিনের চালার ৪০ ফুট গভীর করে মাটি বিক্রি করা জায়গাটি আমাদের না।

এব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের কাছে মুটোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এতিমধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেন দিতে বলা হয়ে। আর পাল্টা পাল্টি অভিযোগের বিষয়টি প্রয়োজনে আমি নিজে তদন্ত করবো। কর্মচারীদের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *