রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন: মিয়ানমার-বাংলাদেশ বৈঠক ৩ মে

Slider সারাদেশ


ঢাকা: বিলম্বিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে নতুন করে আলোচনা হবে। মিয়ানমারের রাজধানী ন্যাপিডতে এই আলোচনা হওয়ার কথা ৩রা মে। দু’দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের প্রথম দফা উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর এটাই এমন প্রথম বৈঠক। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিয়ানমার টাইমস।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ স্থায়ী সচিব ইউ অং কাইওয়া জান বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যাবর্তন শুরু করতে মিয়ানমার অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে যাবে। তার ভাষায়, সম্পাদিত চুক্তির অধীনে সামনে অগ্রসর হতে হবে আমাদেরকে। কিন্তু আমি জানি না আমাদের প্রস্তাবে বাংলাদেশ কিভাবে সাড়া দেবে। প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের উত্তম পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবে মিয়ানমার।

মন্ত্রণালয়ের মতে, হিন্দু সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের অবিলম্বে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব পাবে। বলা হয়েছে, এসব শরণার্থী দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সমাজকল্যাণ বিভাগের সদস্য ইউ কো কো নাইং বৈঠকের নির্ধারিত সময় সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। তবে এতে কি এজেন্ডা থাকছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেন নি তিনি।

২০১৭ সালের আগস্টে আরাকান সালভেশন আর্মির (আরসা) চালানো হামলার জবাবে দেশটির সেনাবাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালায়। এতে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তাদের কমপক্ষে ৭ লাখ ২০ হাজার সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। সেই থেকে তাদেরকে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। তার ওপর ভিত্তি করে ২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। গত ডিসেম্বরে প্রথম ব্যাচে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মিয়ানমারে তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নি বলে তারা দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়। এ জন্য প্রত্যাবর্তন থেমে যায় শেষ মুহূর্তে। এর আগে প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা বেশ কয়েকবার স্থগিত করা হয়। ওদিকে প্রথম ব্যাচের রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করছে মিয়ানমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *