পাটের জিন আবিষ্কারক বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম মারা গেছেন

টপ নিউজ
image_165692.2012-09-19-18-24-39-505a0de75e82e-untitled-9আজ ভোরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে পাটের জীন আবিষ্কারক ড. মাকসুদুল আলম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। হাওয়াই স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
ড. মাকসুদুল আলমের ভাই মেজর জেনারেল (অব.) মঞ্জুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে হাওয়াইয়ের কুইন্স মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি ছিলেন মাকসুদুল। এরপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে তার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ব্লিডিং শুরু হয়। একই সঙ্গে ড. মাকসুদুল আলমের লিভার, কিডনি এবং ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ে।
মৃত্যুকালে স্ত্রী রাফিয়া হাসিনা এবং ১৬ বছর বয়সী মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় হাওয়াইয়ান জেনারেল পার্কে মরহুমের দাফন হবে বলে জানান মেজর জেনারেল (অব.) মঞ্জুরুল আলম।
ড. মাকসুদুল আলমের বন্ধু আনোয়ার কাদির জানান, দীর্ঘ ১৪ ধরে ওই মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া মাকসুদুল আলম রাশিয়ার মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুপ্রাণবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে জার্মানিতে বিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৭ সালে প্রাণরসায়নে পুনরায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
বাংলাদেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের জিন আবিষ্কার করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন এই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে বসবাস করছিলেন ড. মাকসুদুল। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন বাই প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *