টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত, অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার

Slider গ্রাম বাংলা

কক্সবাজারে টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা শীর্ষ ডাকাত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি এবং ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকে হাবিরের ঘোনা পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহতরা হলেন হ্নীলা নয়াপাড়া মুচনী ক্যাম্পেরর বি ব্লকের বাসিন্দা আমির হোসেনের ছেলে নুর আলম (২৩), একই ক্যাম্পেরর এইচ ব্লকের মো. ইউনুসের ছেলে মো. জুবায়ের(২০)ও এইচ ব্লকের ইমান হোসেনের ছেলে হামিদ উল্লাহ (২০)।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ ব্লকে হাবিরের ঘোনা পাহাড়ের নিচে অস্ত্র মজুদ রয়েছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের একটি গ্রুপের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ভোঁড়ে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন এসআই স্বপন, কনস্টেবল মেহেদী ও কনস্টেবল মং। এ সময় ডাকাত দলের লোকজন গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। কক্সবাজার নেওয়ার পথে তারা মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি এলজি ও সাত রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে তিন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তবে এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *