শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ

Slider শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রাখার স্বার্থে সকল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ফয়সল মাহমুদ রুমি স্বাক্ষরিত ও ই-মেইলে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ বঙ্গের উচ্চশিক্ষার একটি সমৃদ্ধ ও সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্যের প্রদত্ত বক্তব্যের একটি বাক্যকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, তিনি কোনভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে রাজাকার সম্বোধন করেননি বরং যারা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের এমন কার্যক্রম রাজাকার সাদৃশ মর্মে মন্তব্য করেছেন। উক্ত শব্দটি তিনি কোনভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেননি।

এরপরও যদি উপাচার্যের ওই বক্তব্যে কোন শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, তবে তার জন্য উপাচার্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রাখার স্বার্থে উপাচার্য সকল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ, উপাচার্যের ওই বক্তব্যের জের ধরে গত ২৭ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় আন্দোলন প্রশমিত করতে গত ২৭ মার্চ গভীর রাতে উপাচার্য তার একক ক্ষমতা বলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং পরদিন ২৮ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল এবং উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য তার বক্তব্যের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *