পাচারের সময় পঞ্চগড়ে ৪০টি দেশিয় প্রজাতির টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সিরাজগঞ্জগামী যাত্রীবাহি একটি বাস থেকে শুক্রবার সকালে এসব পাখি উদ্ধার করে বন বিভাগ। এ সময় পাচারকারী কাউকে আটক করা যায়নি।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন পাখিগুলো অবমুক্ত করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গোলাম আজম, পঞ্চগড় রেঞ্চের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মধু সুদন বর্ম্মণ উপস্থিত ছিলেন।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, তীরনইহাট ইউনিয়নের হুলাসুজোত গ্রামের আব্দুল জব্বার ফাঁদ পেতে এসব পাখি ধরেন এবং নাটোরের মজিবুল হক নামে এক পাচারকারীর কাছে তা বিক্রি করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন যাত্রীবাহি বাসটিকে চ্যালেঞ্জ করেন।
এসময় বাসে থাকা একটি খাঁচা থেকে ৪০টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেন।
বন বিভাগ পঞ্চগড় রেঞ্চের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মধু সুদন বর্ম্মণ বলেন, ‘পাখিগুলো দেশি জাতের। এ পাখিগুলোকে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। পাখি পাচারকারী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ফাঁদ পেতে দেশীয় টিয়াসহ নানা জাতের পাখি ধরে পাচারের সাথে জড়িত। তেঁতুলিয়া উপজেলার তীরনইহাট ইউনিয়নের হুলাসুজোত গ্রামের আব্দুল জব্বার ফাঁদ পেতে এসব পাখি ধরেন এবং নাটোরের মজিবুল হক নামে এক পাচারকারীর কাছে সে নিয়মিত পাখি বিক্রি করেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, পাখি ধরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছি। এরকম ঘটনা কেউ দেখে থাকলে সাথে সাথে জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।