স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাস। যারা তাকে অসম্মান করতে চায়, ছোট করতে চায়, তারা নিজেরাই আজ ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়ে গেছে। সুতরাং এ ধরনের উক্তির মাধ্যমে ইতিহাসকে বদলানো যাবে না।’
তিনি তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিএনপিকে ডুবানোর জন্য এই মানুষটিই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না।’
শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে এসে পাবনা সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া অপকর্ম, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করেছিলেন, এ জন্য বাংলার জনগণ তাকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলেছে। সেই আস্তাকুড় থেকে তাকে আর জনগণ ফিরিয়ে আনবে না। তার আন্দোলন কাগজের মধ্যেই থাকবে, মিডিয়ার মধ্যেই থাকবে, বাস্তব রূপ লাভ করতে পারবে না।’
এ দিকে দীর্ঘ ৯ বছর পর শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে দুপুর ১টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ। ভূমিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
এ ছাড়া যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র এম খায়রুজ্জামান লিটন, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর সম্মেলন ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শহরকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। শহর ও শহরের বাইরে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য তোরণ। শোভা পাচ্ছে নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন।
সম্মেলন সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সর্বশেষ ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।