উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে শিশুদের হেলমেট বিতরণ

Slider ঢাকা

মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সুমনঃ উত্তরা প্রতিনিধিঃ রাজধানীর উত্তরা ১১ নাম্বার চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেলে আরোহী শিশুদের মধ্যে হেলমেট বিতরণ করেন উত্তরা ট্রাফিক বিভাগ।

সোমবার সকালে সাড়ে ১১ টার দিকে উত্তরার ১১ নং সেক্টর সংলগ্ন জমজম টাওয়ার মার্কেটের সামনে শিশুদের হেলমেট, ফুল ও চকলেট বিতরণ করা হয়।

ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘উত্তরা ট্রাফিক জোনের পক্ষ থেকে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা এটি। আমরা যারা রাস্তায় কাজ করি বাস্তবতাটা হচ্ছে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করতে গিয়ে দেখছি শিশুদের বিষয়টা উপেক্ষিতই রয়ে যাচ্ছে। যারা বাইক ব্যবহার করেন তারা অনেকেই শিশুদের জন্য হেটমেট ব্যবহার করেন না।’

জুলফিকার আলী বলেন, ‘অভিভাবকদের সচেতন করতে আমরা এটি একটি মেসেজ দিচ্ছি। একভাবে আমরা তাদের সেফটি ও দিচ্ছি। টোটাল ১৩টি পয়েন্টে চেক পোস্ট করা হচ্ছে। মোটরযান আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।’

পরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বাইকারদের ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

বাইকারদের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা বলে, মামলা দিবেন, এই দেখেন মামলা খাইছি। লজ্জা দেয়ার জন্য মামলা দেয়া হয়। কেনো সচেতন হবে না।

আবার হেলমেটবিহীন বাইকারদের ধরলেই বলে, এই যে এখানেই যাবো। হেলমেটের কি দরকার?

জুলফিকার আলী বলেন, ‘২শ টাকার মামলা অনেকেই পাত্তা দেয় না। তো সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে প্রথমে। যে দুই লাখ টাকা দিয়ে বাইক কিনতে পারে তারা হেলমেট কিনতে পারবে না? এটা কেমন কথা।

ট্রাফিক বিভাগের এই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনা দেখেছি। তাই এর বাস্তবতাটা আমরা বুঝি। অফিসারদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে বাঁচ্চাদের জন্য হেলমেট কিনেছি, ফুল কিনেছি, চকলেট কিনেছি। আমাদের এই ছোট প্রচেষ্টা অভিভাবকদের যদি একটু সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজে আসে তাহলে খুশি হবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *