ফুলকে ভালোবাসেন না এমন লোক পৃথিবীতে হয়তো খোজে পাওয়া দুস্কর। আর সেই ফুল এবং এর উৎপাদন আর পরিচর্চা কিভাবে করতে হয় এসব জানাতে মরুর দেশ সৌদি আরবে বিগত ১২বছর যাবত হয়ে আসছে মাসব্যাপি ফুল এবং বাগান উৎসব। রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় ১১’শ কিলোমিটার দুরের এয়ানবো শহরে সৌদি রয়েল কমিশনের ল্যান্ডস্ক্যাপ অ্যান্ড ইরিগেশন বিভাগের এই উৎসব ২০১৪ সালে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সবুজ ফুলের গালিচা হিসাবে গ্রিনিজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছিলো। এ বছর ২৮ ফেবুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ১৩ তম ফ্লাওয়ার অ্যান্ড গার্ডেন ফেস্টিভ্যাল। চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। শীত আর গরম এই দুই ঋতুর দেশ সৌদি আরবে এই আয়োজন দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। আর তাদের এই ঘুরতে আসাকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিনা মুল্যে হাজারো ফুল আর বৃক্ষের সঙ্গে পরিচিত হতে হন দর্শনার্থীরা। ফুল আর বাগানের এই উৎসবে ফুড কোর্ট, শিশু পার্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যোগ করেছে নতুন মাত্রা। রয়েছে সুবিশাল কার পার্ক আর সবুজ মাঠ। নিরাপত্তার চাদরে ঠেকে দেয়া হয়েছে পুরো উৎসব এলাকাকে। যতদূর চোখ যায় দেখা মিলে নানান প্রজাতির ফুলের,আর এই ফুলের বিস্তারিত জানার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বারকোড,হরেক রকমের ফুল দিয়ে বানানো হয়েছে ফ্লাওয়ার কার্পেট। এছাড়াও মেলায় রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, নামাজের ব্যবস্থা, ফায়ার সার্ভিস টিম, বাঁচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা, খাবার স্টল, এরিয়ার ম্যাপ, বেশকিছু নার্সারি, গিফট শপ, প্রাচীন পণ্যের মিউজিয়াম, স্ট্রবেরি ও প্রজাপ্রতি গার্ডেন। উৎসব প্রাঙ্গণে কথা হয় বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে। তারা জানান সৌদি আরবে এমন আয়োজন হতে পারে এটা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেনা। মন চায় বার বার ফিরে আসি স্বর্গের প্রতীক এই ফুলের কাছে। শুধু দর্শনার্থী নয় বিক্রেতা হিসাবেও এখানে রয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তবে ভাড়া বেশি হওয়ায় এবার বাংলাদেশী বিক্রেতা কম। সন্ধার পর উৎসবের বিনোদন এরিয়াতে স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে শিশু-কিশোরদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ডিজে ও আতশ বাজি মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।

Slider বিচিত্র

রাজনীতিতে তারকাখচিত ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী করার ট্রেন্ড ছিল দক্ষিণ ভারতে। কিন্তু বিগত বাম সরকারকে হটিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও দক্ষিণী হাওয়া নিয়ে আসেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানর্জি। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে তিন সেলিব্রেটিকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা।

গত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুন হয়ে যায়।

রাজনীতির সাথে যুক্ত নয় এমন ১০ জনকে প্রার্থী করেন মমতা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। ক্রীড়াজগত, সংস্কৃতিজগত, শিক্ষাজগত থেকে একাধিক ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছেন তিনি।

আসানসোলে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন, টালিগঞ্জের অভিনেতা দেব (দীপক অধিকারী)-কে প্রার্থী করা হয়েছে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে, বালুরঘাট থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট নাট্যপরিচালক অর্পিতা ঘোষ, বীরভূম থেকে অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে। তবে সবথেকে বড় চমক অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহানকে প্রার্থী করা। যাদবপুর থেকে মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে।

অন্যদের মধ্যে মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি লড়বেন ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে, বারাসাত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দমদম থেকে সৌগত রায়, উত্তর কলকাতা থেকে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতা থেকে মালা রায়, পাশাপাশি সুব্রত মুখার্জিকে প্রার্থী করা হয়েছে বাঁকুড়া থেকে।

তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এবারের নির্বাচনে ১০ জন বর্তমান সাংসদকে টিকিট দেওয়া হয় নি। সাংসদ ও অভিনেতা তাপস পালের পরিবর্তে কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। মেদিনীপুরে সন্ধ্যা রায়ের জায়গায় প্রার্থী হয়েছে মানস ভুঁইয়া। তেমনি দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সদস্য নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসুকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গায় আনা হয়েছে মিমিকে।

এছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী, উমা সোরেন, ইদ্রিশ আলি সহ আরও কয়েকজনকেও প্রার্থী করা হয়নি। যদিও এদেরকে প্রার্থী না করা হলেও দলের সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূলের ১২ সদস্যের নির্বাচনী কমিটির সাথে বৈঠকে বসেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ওই কমিটিকেই লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের বিষয়গুলি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কমিটির সাথে বৈঠকেই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর বিকালে রাজ্যের ৪২ টি কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়।

আসলে মমতা চেয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা যাতে সময় নষ্ট না করে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন। সম্প্রতি মমতা নিজেও জানিয়েছিলেন যে কয়েকটি আসনে প্রার্থী বদল হতে পারে। এদিনের তালিকা প্রকাশের পর সেই ছবিটাই দেখা গেল। এদিন, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িষ্যা, আসাম, ঝাড়খন্ড, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকেও তার দল লড়াই করবে বলে ঘোষনা দেন মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *