খালেদা জিয়ার বিছানা থেকে উঠতে এখন সাহায্যকারী লাগে’

Slider সারাদেশ


ঢাকা:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি ভুয়া, মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হলো। নিম্ন আদালতে সেই সাজাকে বাড়িয়ে ১০ বছর করলো। বেগম জিয়া এখন অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি বসতে পারেন না। তাকে বিছানা থেকে তুলতে একজন সাহায্যকারীকে দরকার হয়। এটা মানব অধিকারের একটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আজ রবিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে নবগঠিত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বলেন, ছাত্রদল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে আমি এটাকে স্বাগত জানাই। কারণ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। আরেকটি ক্যান্সারের সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গড়ে ওঠার কারখানা সেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজে রাজনীতির একটি সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি দানব ঢুকে সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে ফেলেছে। একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের যা অর্জন, আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও মূল্যবোধ। আমরা যে ধারণার উপর ভর করে সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি, একটি মুক্তিযুদ্ধ করে রাষ্ট্র গঠন করেছি সেই সব কিছু এই দানব ধ্বংস করে ফেলেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করার সময় আমরা বলেছিলাম একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা বলেছিলাম কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের একেবারে পোষ্যদের নিয়ে এ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আর তারা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময়ই গণতন্ত্র ধ্বংসকারী একটি দল। ৭২ সালে তারা ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের সংবিধান নিজেরাই ধ্বংস করেছে। তারা মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে। তখন ‘রক্ষীবাহিনী’ নামে একটি দল ছিল। যারা গণতন্ত্রকামী ব্যক্তিদেরকে হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। তারা মুখে মুক্তির কথা বললেও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, তারা সব সময় ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সঞ্চালনায় সভায় কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,আব্দুর রাজি,এম জাহাঙ্গীর আলম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *