অচিন্তনীয় পরিণতি ঘটতে পারে ভারত-পাকিস্তানের

Slider সারাবিশ্ব


ঢাকা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পারমাণবিক হুমকিতে বিশ্ব সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলোতে সতর্ক করা হয়েছে, কাশ্মির নিয়ে বিরোধ থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় শুরু হয়ে যেতে পারে পারমাণবিক যুদ্ধ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে অব্যাহতভাবে তৎপর রয়েছে সন্ত্রাসীরা। ওই সেনা কর্মকর্তা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের নেতৃত্বে থাকা জেনারেল জোসেফ ভোটেল। তিনি মনে করেন, এই অঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। ওদিকে সিনেটর মিট রমনি মনে করেন, কাশ্মির সমস্যার সমাধান না হলে এ অঞ্চল থেকে শান্তি দূরে থাকবে। পাকিস্তানের অনলাইন ডন এ খবর দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের হাউস কমিটি অন আর্মড সার্ভিসেসে জেনারেল জোসেফ বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাইরে সক্রিয় জঙ্গিরা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য অব্যাহত হুমকি হয়ে উঠেছে।

পাশাপাশি তারা ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনায়ও ভূমিকা রাখছে। এরই মধ্যে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের বিপজ্জনক পরিণতি হতে পারে।

এতে আরো বলা হয়, দুই দেশই বিপজ্জনক ভূখন্ড অতিক্রম করেছে। ভারত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানে। দু’পক্ষই আকাশ পথে লড়াইয়ে লিপ্ত। এর পরবর্তী কোনো সংঘাত বা এরপরের কোনো ঘটনা অচিন্তনীয় পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

আরো একধাপ এগিয়ে রিপোর্ট করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে আটলান্টিক ম্যাগাজিন তার এক লেখায় বলেছে, দুই দেশই তার জনগণ থেকে সত্য আড়াল করছে এবং তারা নীরবে যুদ্ধ পরিহার করার চেষ্টা করছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনার চেষ্টায় রত, তখন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের দূত আসাদ মাজিদ খান যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তার দেশের অবস্থাব ব্যাখ্যা করেছেন। সিনেটর মিট রমনিকে তিনি বলেছেন, দখলীকৃত কাশ্মিরের মানুষের আত্মমর্যাদার বৈধ অধিকার যতদিন ভারত অস্বীকার করবে ততদিন দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না। তাই আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক এই মূল সমস্যাটি সমাধান করতে আগ্রহী পাকিস্তান।

ওদিকে কংগ্রেশনাল শুনানিতে জেনারেল জোসেফ বলেছেন, পাকিস্তানকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তামূলক সহযোগিতা স্থগিতই আছে। তবে দু’পক্ষের মধ্যে কিছু সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত আছে। যা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সামরিক সহযোগিতার গুরুত্ব প্রকাশিত হয়। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। তারা অবস্থান করছে রাশিয়া, চীন, ভারত, ইরানের পাশাপাশি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তান সব সময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *