আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বুধবার বিকেলে সাহেবালী মাতুব্বর নামে আওয়ামী লীগের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে কালিকাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকন গ্রুপের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাহেবালী মাতুব্বর গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার সকালে পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকা দিয়ে মাদারীপুর শহরের দিকে আসছিল সাহেবালী মাতুব্বর। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার উপরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় অন্তত আরও ৫ জন আহত হয়। দুপুরে সাহেবালীর অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে ফরিদপুর মেডিকলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় কালিকাপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার দাবি করেছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকনের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। আমরা এই নির্মম হত্যার বিচার দাবি করি।
অভিযোগের ব্যাপারে কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকন জানান, আমার লোকজন সাহেবালীর উপর হামলা করেনি। বরং সাহেবালীর লোকজন আমার আত্মীয়-স্বজনদের উপর হামলা করেছে। এখন আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান জানান, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নিহতের পরিবার আইনগত ব্যবস্থা চাইলে মামলা নেয়া হবে।