হলে ভোট কেন্দ্র রাখা নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় মনে করছে বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো। শুরু থেকেই এ নিয়ে নানান কর্মসূচী পালন করে আসছে তারা। সর্বশেষ গণস্বাক্ষর কর্মসূছী পালন করেছে বাম সমর্থিত ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা। “হলে নয়, ডাকসুর ভোটকেন্দ্র অনুষদে চাই” শিরোনামে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী হলের বাহিরে অনুষদে ভোট কেন্দ্র করার রায় দিয়েছে। অন্যদিকে হলের ভেতর ভোট কেন্দ্র চেয়েছে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ‘হলে নয় অনুষদে ভোট কেন্দ্র চাই’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা মতামত প্রদান করেন। ৭ কার্যদিবসের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ টি হলের ৩১৪৫ জন শিক্ষার্থী সাক্ষর করেন। সাক্ষরকারীরা সাক্ষরের মাধ্যমে অনুষদে হ্যাঁ (অনুষদে চাই) এবং অনুষদে না (হলে চাই) এই দুটি মতামত প্রদান করেন। এতে অনুষদে ভোটকেন্দ্র চাই এর পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮১ টি, হলে ভোট কেন্দ্র চাই ভোট পড়ে ১৫৯ টি। নিরপেক্ষ ও বাতিল ভোট পড়ে ১০৫ টি।
গণসাক্ষরের ফলাফল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বরাবর স্মরকলিপির মাধ্যমে পেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
স্বারকলিপিতে ৬ টি দাবি করা হয়। এগুলো হলো- বিশেষ পরিস্থিতে হলে নয়, অনুষদে ভোট কেন্দ্র চাই, সভাপতির ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করতে হবে, নির্বাচিত ব্যক্তিগণ নির্বাচিত হয়ে যেনো কোনো অনিয়ম চর্চা করতে না পারে, নির্বাচিত ব্যক্তিকে ভোটার কর্তৃক অভিশংসনের ব্যবস্থা করতে হবে, হল ও কেন্দ্রীয় সংসদের ফি প্রদান করে এমন সকল শিক্ষার্থীকেই ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী সংগঠনের মধ্যে গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদেও অবাধ প্রবেশ, প্রচারের ব্যবস্থা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
এদিকে, গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন হয়েছে। তবে চরমোনাই পীরপন্থী ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ছাড়া বড় কোনো ছাত্র সংগঠন এখনো পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করেনি। নিজেদের দাবি না মানলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল। অন্যদিকে হাই কমান্ডের নির্দেশের অভাব এবং প্যানেল চূড়ান্ত না করার কারণে মনোনয়ন নেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাবির ১৮টি হলের মধ্যে ১২ টি হলের শিক্ষার্থীরা সর্বমোট ৩০টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে।