সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবকিছু দিয়ে লড়াই দিব — গণপূর্ত মন্ত্রী

Slider ঢাকা

ঢাকা: গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি ও অনিয়ম থাকতে পারবে না। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবকিছু দিয়ে লড়াই করে যাব।আমি পরিচ্ছন্ন থাকবো এবং আমার সঙ্গে যারা কাজ করবেন তাদেরও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। মেয়াদ শেষে আমার মন্ত্রণালয়কে দেখতে চাই স্বচ্ছ; দুর্নীতি, ভোগান্তি ও হয়রানিমুক্ত। এটাই আমার অঙ্গীকার।’

নিজ মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা আমি সর্বতোভাবে ধারণ করি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে কাজ করে যেতে চাই। কোনও অনিয়মকে বরদাস্ত করা হবে না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ১২টি প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বাড়ানো। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও নিয়মকে কঠোরভাবে অনুসরণ এবং জমে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করা।

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ জমি, আবাসন এসব সংক্রান্ত। এসব খাতে কাজ করাটাই একটা চ্যালেঞ্জ। আমি প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে উৎরাতে চাই। আমি চাই রাজউকে মানুষের বাড়ি ও স্থাপনার নকশা অনুমোদনের ভোগান্তি কমাতে এবং টেবিল টু টেবিল না ঘুরে অনলাইন বা অটোমেশন সিস্টেমে তা সম্পন্ন করা, দেড়শ’ দিনের জায়গায় ৫৩ দিনে নকশা অনুমোদন করা, ১৬টি প্রতিষ্ঠানে ধরনা দেওয়ার জায়গায় অপ্রয়োজনীয় ১২টি বাদ দিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করা।’ আগামী ১মে থেকে কোথাও ম্যানুয়ালি আবেদন নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনসাধারণের জন্য বাসস্থান সমস্যা সমাধানের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কয়েকটি বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেগুলো দ্রুতই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে যাবে। অদুর ভবিষ্যতে সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। একজনও আবাসন সমস্যায় ভুগবেন না। পর্যায়ক্রমে সাধারণ জনগণের জন্যও এই ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করার চিন্তা আছে।’

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবকিছু দিয়ে লড়াই করার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার বাবা ৭০-এ নাজিরপুর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। মামা মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার, খালু মুজিব বাহিনীর কমান্ডার, বড় ভাইসহ অন্যান্য ভাইরাও মুক্তিযোদ্ধা। পরিবারের সবাই দেশ ও মানুষের জন্য যার যার জায়গা থেকে কাজ করে গেছেন। আমি নিজেও জনগণের জন্য নিজেকে উজার করে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *