লালমনিরহাটে ৫ উপজেলায় মনোনয়ন দৌড়ে আ’লীগের ২৫ প্রার্থী!

Slider রংপুর


হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদের রেষ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঢামাঢোল।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হতে পারে ফেব্রুয়ারিতেই। সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় আওয়ামীলীগের ২৫ সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন।

তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিরবতা পালন করছেন। বিশেষ করে নবীণদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলেছে ব্যাপক ভাবে।

চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠঘাট, হাটবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা থাকায় দল থেকে মনোনয়ন নেয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যেই অনেকেই দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবার অনেকেই বলছেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তারা নির্বাচন করবেন। নিজ যোগ্যতায় সাধারণ ভোটারের সাথে নিয়ে তাদের ভোটে তারা জয়ী হবেন।

জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় আওয়ামীলীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাই কমান্ডে দৌড় ঝাপসহ এলাকায় গণসংযোগ করছেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, পাটগ্রাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান নীলু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা ফারুক।

হাতীবান্ধা উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামীলীগের হাই কমান্ডে দৌড় ঝাপসহ এলাকায় গণসংযোগ করছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ভেলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক মাহ্মুদুল হাসান সোহাগ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাগর, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আলমগীর হোসেন রন্টু, নওদাবাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার বসুনিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য হাসান মেহেদী অপন, সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী সাবেক ইউ-পি চেয়ারম্যান এম জি মোস্তফা ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান মামুন।

তবে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহম্মেদ, চলবলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু।

আদিতমারী উপজেলায় আওয়ামীলীগের মনোননয়ন প্রত্যাশী হয়ে গণসংযোগ করছেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক রফিকুল আলম, ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও ইমরুল কায়েস ফারুক।

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগ থেকে ৫ জন দলীয় মনোনয়নের জন্য হাই কমান্ডে যোগাযোগ করছেন।

তারা হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এ্যাড. আশরাফ হোসেন বাদল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও সম্পাদক কামরুজ্জামান সুজন।

পাটগ্রাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান নীলু বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ-পদবীতে দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের নেতৃত্বে পাটগ্রামের সকল উন্নয়নে ভুমিকা রাখছি। সে কারণেই আমিই আওয়ামীলীগ ও পাটগ্রামের জনগনের যোগ্য প্রার্থী।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান বলেন, আমি আওয়ামীলীগ থেকে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চাইবো এবং আমার বিশ্বাস আওয়ামীলীগ আমাকেই মনোনয়ন দিবেন। যদি দল মনোনয়ন না দেয় তবুও আমি নির্বাচন করবো। নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার কোনো কারণ বা সুযোগ নেই।

মনোনয়ন প্রত্যাশী মিজানুর রহমান মিজু জানান, দলীয় মনোনয়ন না পেলে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিব দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর। তারা যদি আমাকে প্রার্থী হিসাবে চান তখন সিদ্ধান্ত নিব। আমার রাজনীতি মুলত জনগণকে নিয়ে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে চাই।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে একটি প্রার্থী তালিকা দলের হাইকমান্ডে প্রেরণ করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন দলের নেতা-কর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবেন। এ জেলায় দলের মাঝে কোনো কোন্দল নেই। সে কারণে দলের সিন্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কেউ প্রার্থী হবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *