শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় যেসব নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীরা অনিয়মত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের খাতা একদম ভিন্নভাবে দেখা হবে। যেন তারা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। অন্যদিকে যাদের ভুলের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার একাদশ সংসদের প্রথম প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্পূরক প্রশ্নে গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষায় দেশের কয়েকটি স্থানে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাদের ভুলে এই ঘটনাটি ঘটলো তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে কী বিবেচনা করা হবে জানতে চান মুজিবুল হক চুন্নু। জাতীয় পার্টির অপর সদস্য ফখরুল ইমাম পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষণে শিক্ষামন্ত্রীর পদক্ষেপকে অনৈতিক উল্লেখ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, পুরাতন শিক্ষার্থীদের সিলেবাসটি ভিন্ন কিন্তু সেই সিলেবাসের বিষয় ভিন্ন নয়। একই বিষয় সিলেবাসে খানিকটা ভিন্নতা আছে। পরীক্ষার প্রশ্নের মধ্যে প্রতিটিই প্রশ্নই তার সিলেবাসের বাইরের না। খুবই অল্প জায়গায় ভিন্নতা আছে। পুরোটা ভিন্ন বিষয় নয়। তার থেকেও বড় কথা হলো যেখানে ভুলটি ঘটেছে, সেখানে আপনার কাছে ক্ষতিপূরণ কী আছে? এক হতে পারে এই পরীক্ষাটি যারা দিতে পারলেন না তাদের পরীক্ষা বাতিল করে দিয়ে তাদের আবার একটি পরীক্ষা নিতে হবে।
সেই ক্ষেত্রেও তো অন্য যারা পরীক্ষা দিলো সেই একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে পারছেন না তারা। কারণ সেই প্রশ্নে তো ইতিমধ্যেই পরীক্ষা হয়ে গেছে। তাহলে ভিন্ন একটি প্রশ্নে তাদের পরীক্ষা দিতে হবে। সেখানেও কিন্তু আপনি সমান মানদণ্ড ব্যবহার করতে পারছেন না। তারপরও আপনাদের কাছে যদি যুক্তিযুক্ত একই মানদণ্ড বজায় রেখে এসব শিক্ষার্থীদের জন্য যদি আরও ভালো কোন পরামর্শ থাকে, দয়া করে দেবেন। আমরা অবশ্যই সেটি বিবেচনা করবো।
উল্লেখ্য, এসএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম, জামালপুর, নওগাঁ, শেরপুর, সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট ও মাদারীপুরে মোট ১৮টি কেন্দ্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এসব প্রশ্নপত্র ছিল পুরোনো সিলেবাসের ভিত্তিতে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য। এ ঘটনায় কোথাও কোথাও প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হলেও কোথাও কোথাও ভুল প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।