বাল্যবিয়ের অভিযোগে বরের কারাদণ্ড

Slider গ্রাম বাংলা

বিয়ের আয়োজন শেষ। বিয়ে বাড়িতে তাই হৈ হুল্লুড় আর উৎসবে মেতেছিল কনের বাড়ীর লোকজন।

বরপক্ষ আসার পর সেই আনন্দ আরও বেড়ে যায়। আয়োজনে কমতি ছিল না কনে পক্ষের। শীতের হিমেল স্পর্শে খাবার ঠাণ্ডা হয়ে যাবে এ কারণের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতেই খাবার পরিবেশন করা হয়।
ঠিক সেই মুহূর্তে কনের বয়স বিয়ের উপযুক্ত নয় এমন অভিযোগে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে হাজির হন বিয়ের অনুষ্ঠানে।

পুলিশ দেখে খাবার রেখে কনেসহ পালিয়ে যায় দুই পরিবারের লোকজন। তবে বর পালিয়ে যেতে পারেনি।

তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের এলাইগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কনে মোছা: সুলতানা আকতার এলাইগাঁও গ্রামের মো. তফেজুল ইসলামের কন্যা এবং কবিরাজ হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

বর মো. লিটল ইসলাম (২৬) দিঘলপুকুর গ্রামের মো. কাবিরুল ইসলামের ছেলে।

বীরগঞ্জ থানার এসআই মো. নুরুল হক জানান, প্রায় এক মাস পূর্বে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের এলাইগাঁও গ্রামের মো. তফেজুল ইসলামের কন্যা মোছা. সুলতানা আকতারের সাথে একই উপজেলার দিঘলপুকুর গ্রামের মো. কাবিরুল ইসলামের ছেলে মো. লিটল ইসলাম (২৬) এর বিয়ে ঠিক হয়। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর পক্ষ আসে কনের বাড়ীতে। কিন্তু প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারে কনের বয়স বিয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। প্রশাসন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে ঘটনাস্থল হতে কনেসহ বর পক্ষের সকলেই পালিয়ে যায়। পরে বরকে আটক করে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাল্যবিবাহ একটি গুরুত্বর অপরাধ। এটি সংগঠিত হওয়া মানে দুটি শিশুর জীবন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। তাই বাল্যবিয়ের সাথে কোন আপস নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *