ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ছোটবেলায় আমার ইচ্ছা ছিলো ডাক্তার হবো। এসএসসি পরীক্ষা দিলাম, তখন দেখলাম অঙ্কে কাঁচা। আর বন্ধুরা সবাই আর্টসে ছিলো, আমিও আর্টসে ভর্তি হই। এরপর ইচ্ছা ছিলো শিক্ষক হবার। আবার শিক্ষক মানে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বাচ্চাদের পড়াব।’
সম্প্রতি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে রাজনীতিতে না এলে কী করতেন? ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?- তরুণদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।
রাজনীতিতে কখন কিভাবে এলেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনৈতিক একটি পরিবারে জন্ম। আর রাজনীতি আমাদের সাথে এমনভাবে জড়ানো ছিলো যে, রাজনীতিতে ঠিক কখন প্রবেশ করলাম তা সঠিকভাবে বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। সেই সময় শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের আন্দোলন, তারপর আরো বিভিন্ন আন্দোলন। যখন আন্দোলন হতো, তখন এটা ঠিক স্কুল পালিয়ে চলে যেতাম সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মিটিং শোনার জন্য।’
‘আবার স্কুল থেকে আমাদের সংগঠন করতে হবে, ছাত্রলীগ করতে হবে বলা হলো। তাই স্কুল থেকে বিভিন্ন স্কুলে যেতাম। মেয়েদের বোঝাতাম কেন আমাদের সংগঠন করতে হবে।’
‘লেট’স টক’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, তরুণ পেশাজীবী, অ্যাথলেটস, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মীসহ দেড়শোর মতো তরুণ অংশ নেন।
তরুণদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী, শোনেন তরুণদের স্বপ্নের কথাও।
রান্নাঘরের কথা থেকে শুরু করে, কৈশরের দুরন্তপনা, স্কুলজীবনের মজার ঘটনা, মায়ের কাছে আবদার মেটানোর কৌশল, পারিবারিক ট্র্যাজেডি, বাধার পর বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে চলার গল্পসহ প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে লেট’স টক অনুষ্ঠানে।
দেশ ও জনগণকে নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, তারা প্রধানমন্ত্রী হলে কী করবে, সেসব কথাও শোনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী।