হানিফের আয় কোন খাত থেকে কত?

Slider রাজনীতি

পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখানো হয় আট কোটি ৫০ লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখানো হয় ২৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৮ টাকা। সে হিসাবে গত পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে তার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কার্যালয় ও সহকারী রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় হানিফের ব্যবসা থেকে আয় দেখানো হয়েছে দুই কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ টাকা। তবে তিনি কী ব্যবসা করেন তা উল্লেখ করেননি।

বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে তার আয় সাত লাখ ৭৬ হাজার ১৬০ টাকা। এমপি ভাতা থেকে পান ছয় লাখ ৬০ হাজার ও অন্যান্য খাত থেকে আসে আট হাজার ৪৪৯ টাকা। সব মিলিয়ে হানিফের এখন সম্পদের পরিমাণ ২৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৮ টাকা, যা দশম সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখানো হয় আট কোটি ৫০ লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪ টাকা। সে হিসাবে এবার তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণ। হানিফের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা আছে ৭২ লাখ ৭১ হাজার ১৩৯ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৬৩ টাকা। বন্ড, শেয়ারসহ অন্যান্য খাতে আছে চার কোটি ৮১ লাখ ছয় হাজার ৪০০ টাকা। হানিফের তিনটি গাড়ি আছে; যার মূল্য এক কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি আছে ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৫৬ টাকার। নয়াপল্টনে একটি বাড়ি আছে; যার মূল্য আট লাখ টাকা, গাজীপুরে তিন একর জমি আছে; যার মূল্য এক কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গুলশানে পাঁচ কাঠা ৯ ছটাক জমি আছে; যার মূল্য তিন কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ১৮০ টাকা। চৌড়হাসে ১২ শতাংশ জমিসহ দালানের মূল্য এক কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা হলফনামায় হানিফের বার্ষিক আয় দেখানো হয় তিন কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, দোকানভাড়া থেকে আয় সাত লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকা। মৎস্য ব্যবসা থেকে আয় তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা। চাকরি থেকে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছিল। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হানিফের নামে নগদ টাকা ছিল ৪৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৪ টাকা। হানিফের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থের পরিমাণ ছিল ৮১ হাজার ৪৭৪ টাকা। তবে তার স্ত্রীর নামে দেখানো হয়েছিল দুই লাখ ৪৯ হাজার ৫১ টাকা। হানিফের নিজের নামে শেয়ার ছিল এক কোটি তিন লাখ ২৫ টাকা ও বন্ড ছিল ২০ লাখ টাকার। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে শেয়ার ছিল ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেয়া হলফনামায় স্ত্রীর নামে সব মিলিয়ে এক কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৯১৭ টাকার সম্পদ দেখানো হলেও এবার হলফনামায় হানিফের স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ ও অর্থ দেখানো হয়নি। গত বছর ব্যাংকে দেনা দেখানো হলেও এবার কোনো দেনার কথা হলফনামায় পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *