রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের দিন নগরে বাস চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। বিশেষ করে আশেপাশের জেলা এবং উপজেলা থেকে রাজধানীগামী বাস আসা কমে গেছে।
নগরীর প্রবেশপথগুলোতে চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। আর বাস উঠে, তখনও যাত্রী নামিয়ে চলছে তল্লাশি।
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা। ঘড়িতে বেলা ১১টা। বিপুল সংখ্যক যাত্রী দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষায়। কিন্তু বাস আসছে না সেভাবে। বিশেষ করে গাজীপুর থেকে আসা নগর পরিবহনের বাস কম। যদিও টঙ্গী অথবা আবদুল্লাহপুর থেকে আসা বাসের সংখ্যা অত কম না।
উত্তরা, বিমানবন্দর মোড়, খিলক্ষেত, বনানী, মহাখালী-প্রতিটি মোড়েই দেখা গেল বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা শত শত মানুষ।
যানবাহন কম বলে রাস্তায় যানজট অবশ্য দেখা যায়নি তেমন একটা। এ দিক থেকে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি আছে।
নগরীর আরেক প্রবেশ পথ গাবতলীতে যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশি চলছে। যাকে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে, গাড়ি থেকে নামিয়ে করা হচ্ছে তল্লাশি। প্রায় প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির পরে ঢাকায় প্রবেশের ছাড়পত্র মিলছে।
বিরক্ত যাত্রীরা। তবে হঠাৎ কেন এই কড়াকড়ি। বলছেন না পুলিশ কর্মকর্তারা। শাকিল নামে পুলিশের এক ইনস্পেক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানায়নি। নির্দেশে কাজ করছি।’
আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের স্যাররা নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
বিরক্ত যাত্রীরা। তবে হঠাৎ কেন এই কড়াকড়ি। বলছেন না পুলিশ কর্মকর্তারা। শাকিল নামে পুলিশের এক ইনস্পেক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানায়নি। নির্দেশে কাজ করছি।’
আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের স্যাররা নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
যানবাহন কম থাকা অবস্থায় নগরে চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যায় পড়ছে নগরবাসী। সাভারের হেমায়েতপুর থেকেও গাবতলী পর্যন্ত হেঁটে আসতে দেখা গেছে বহু জনকে। আর এ জন্য বিরক্তিও প্রকাশ করেছন।
বাস কম থাকা অবস্থায় সুযোগ সুভি অটোরিকশার ভাড়াও বেশি হাঁকছেন চালকরা। যে এলাকায় জটলা বেশি, সেখানে অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন সেবার ভাড়াও বেশি আসছে। কিন্তু যাতায়াতের প্রয়োজনে বাড়তি খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী।
সাভারে আমাদের প্রতিবেদক ইমতিয়াজুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া বাজার এলাকায় পুলিশ অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির কারণে রাজধানীমুখি গণপরিবহনে চলাচলের উপর কড়াকড়ি করা হয়। বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশবাহী বাস থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে গাড়িগুলো ঘুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
তল্লাশি চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারলেই আটকে দেয়া হচ্ছে অনেককে। এছাড়া নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রিমোড়ে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন ১২ আরোহীকে লাঠি-সোঠাসহ আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কোন অরাজক পরিস্থিতি তৈরির কোন তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।