দুর্দান্ত জয়ে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই

Slider খেলা

ঢাকা:২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এই মুহূর্তে সৌম্য আর ইমরুলের ব্যাটে খুঁজে পেয়েছে নির্ভরতা।

আজ যেন প্রতিজ্ঞা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন সৌম্য সরকার। সেই সঙ্গে ইমরুল কায়েসও। সৌম্যর প্রতিজ্ঞা ছিল নিজেকে নতুন করে চেনানোর আর ইমরুল পণ করেছিলেন এই সিরিজে যে অসাধারণ ব্যাটিং তিনি করছেন, সেটি চালিয়ে যাওয়ার। ২৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রার সামনে ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে অসাধারণ কিছুরই প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা মিটিয়েছেন সৌম্য আর ইমরুল। দুজনই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২০ রানের জুটি গড়ে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেটি পুরোপুরি হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তাঁরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় জয়ই দেখছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ৩৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৫৮। জয়ের জন্য আর ২৯ রান দরকার বাংলাদেশের।

২০১৫ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর যে সৌম্যকে ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখেছেন, সেই সৌম্যকেই আজ দেখা গেছে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন তিনি। ৯২ বলে ১১৭ রান করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে ফিরেছেন তিনি। ইনিংসে তাঁর বাউন্ডারি ৯টির বিপরীতে ছক্কা ৬টি। ইমরুল এই মুহূর্তে ১০৮ রানে অপরাজিত। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার মার। সৌম্যর পর উইকেটে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।

ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইমরুল বাংলাদেশের পক্ষে যেকানো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর ছিল ৩৬৫। বাংলাদেশের পক্ষে যেকােনা টুর্নামেন্টে সেটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তামিমের সংগ্রহ ছিল ৩১২ রান।

লক্ষ্যমাত্রাটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। সৌম্য–ইমরুলের ব্যাটে সেটি সহজ হয়ে গেছে। ২৮৬ রানে টপকে যেতে শুরুটা হওয়া উচিত দুর্দান্ত। কিন্তু প্রথম বলেই কাইল জারভিসের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা লিটন দাস।

লিটন অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। জারভিসের বলটাও লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মতোই ছিল। কিন্তু রিভিউতে ‘আম্পায়ার্স কল’ বলে যে ব্যাপারটা আছে, সেই সূত্র মেনেই প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে হয়েছে লিটনকে।

জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রথমে দলে ছিলেন না। গত শুক্রবার বিকেএসপির প্রস্তুতি সেঞ্চুরি করেই নির্বাচকদের মনোযোগ কাড়েন আবারও। চলমান জাতীয় লিগেও তাঁর ব্যাট হাসছিল দারুণভাবে। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি সৌম্যর জন্য বড় চ্যালেঞ্জই ছিল কিন্তু কী অসাধারণভাবেই না ফিরলেন তিনি। দলের জয়ের পাশাপাশি সৌম্য–ইমরুলর দুর্দান্ত জুটি ও শতক চট্টগ্রামের মানুষের জন্য বাড়তি পাওয়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *