রাবিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি

Slider শিক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বাতিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহানের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি এবং এরকম কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার।

সোমবার বিকেলে জনসংযোগ প্রশাসক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘কোটা থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আগামী বছর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে কোটা থাকবে কি থাকবে না। ’
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিাবর্ষের অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্যের বক্তব্য হিসেবে ‘সরকার যখন কোটা বাতিল করেছে, তখন আগামী বছর থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা থাকবে না। সাধারণত আমরা যা চিন্তা করি, ভবিষ্যতেও চিন্তা করে দেখবো কোটা থাকবে কি না। সরকার হয়তো আন্ডার প্রিভিলেজড, প্রতিবন্ধী, উপজাতিদের জন্য কোটা রাখার বিষয়ে বিবেচনা করবে। ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরণের কোটা থাকতে পারে। ’-এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়। এই বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি বলে দাবি করেন অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার।

তবে পোষ্য কোটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেছেন, ‘এখানে যেটা ওয়ার্ড কোটা হিসেবে আছে সেটা কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন তাদের জন্য এটা কিন্তু অতিরিক্ত। এ সিটগুলো ছাত্রদের সিটের বাইরে।

তারপরেও তাদের কিন্তু একটা যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। সেটি উত্তীর্ণ না হলে ভর্তি হতে পারবে না। এটি একেবারে রিলিফ দেওয়ার মতো না। এখানে ঢালাওভাবে ভর্তি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বছর থেকে এখানে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। যারা ওই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করবে কেবলমাত্র তারাই পরীক্ষা দিতে পারবে। ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৫০ লিখিত ও ৫০ নৈর্ব্যক্তিক থাকবে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *