বিএনপিসহ নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি করছে সংসদ বিলুপ্ত করে আগামী নির্বাচন দিতে হবে। যদিও তাদের আসল চাওয়া ‘খালেদার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি এবং ১১ লক্ষ্য’।
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা বাম জোটও দাবি করছে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত অটল। সরকার বর্তমান সংসদ রেখেই নির্বাচন দেবে বলে সরকারি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে সব পর্যায়ের নেতারা মাঠে ময়দানে বলে বেড়াচ্ছেন। এখন এ দ্বিমুখী অবস্থানের সিদ্ধান্ত কীভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় তা দেখার জন্যই জাতি এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দেশের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা হলো ক্ষমতাসীনরা কখনোই মৌখিক বা শান্তিপূর্ণভাবে দাবিকৃত কোনো কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ করে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য না করা যায় ততক্ষণ সরকারের কানে পানি যায় না। ক্ষমতাসীনরা সবসময় নিজেদের অসীম ক্ষমতাধর এবং তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী মনে করে। তাই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার এবারও বিরোধীদের কোনো কথা কানে তুলবে না। তাছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দল ও বাম জোটের অন্তরের কথা তারা চেপে রাখতে পারেনি।
যার ফলে স্থির নিশ্চিত যে এবারের নির্বাচনে সব দলই অংশগ্রহণ করবে। সে রকম টোপ সরকার সবাইকে গিলাতে পেরেছে বলে রাজনীতিতে দৃশ্যমান। সরকারের নেতারা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যে তাদের ১০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে। আরও ১০০ আসনের প্রার্থী মনোনয়ন খুব শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। বাকি ১০০ আসনের মনোনয়ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরে নির্ধারণ করা হবে। সরকারি দলের এ আগাম ঘোষণার পরিষ্কার মাজেজা হলো আগামী নির্বাচনে ১০০ আসন সরকার ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করে ফেলেছে। আরেক ১০০ আসন নিশ্চিত করা হচ্ছে যা হয়তো বিরোধী দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। বাকি ১০০ আসন যে সরকার সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ছেড়ে দেবে তা জলবৎ তরলং স্বচ্ছ!! সরকার সংসদ বিলুপ্ত করবে না এবং বিরোধী দলের কোনো দাবিও মানবে না- যার সবচেয়ে বড় আলামত হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের লক্ষ্য করে সরকার প্রধানের বিদ্রুপ ও তাচ্ছিল্য বক্তব্য। সরকারপ্রধান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মাঠে নামাতে প্রলুব্ধ করতে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকার প্রধান ভালো করেই জানেন বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া কেউ আন্দোলনের মাঠে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার কারণে একক কোনো আন্দোলন আপাতত করতে পারবে না। আর এককভাবে জামায়াতের আন্দোলন করার তো প্রশ্নই আসে না। তাই সরকার নিশ্চিত আগামী ১৫-২০ দিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন আন্দোলন খেলবে তখন সরকারের ঠ্যাঙ্গানি খেয়ে সবাই এক সুরে সরকারের কথামতো আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার কোরাস গাইবে!!
তলে তলে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ফলে খুবই সঙ্গত কারণে কোনো রাজনৈতিক দলেই আন্দোলনের ভাব চাঙ্গা হবে না। ইতিমধ্যেই সরকারবিরোধী বড় একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের একটি প্রভাবশালী মহল মনে হয় সংসদ রেখেই নির্বাচনে যাবে বা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে।
নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তাদের যুক্তি হলো ‘তারা হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক শান্তিকামী রাজনৈতিক দল’। অতীতে নির্বাচনে না গিয়ে দল ভুল করেছিল এবং আগামীতেও নির্বাচনে না গেলে একই ভুল হবে বলে তারা মনে করেন। তারা আরও বলছে নির্বাচনে না গেলে দল চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং দলকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। তাই তারা প্রয়োজনে দলের নেত্রীকে কারাবন্দী রেখে হলেও নির্বাচনে যাবে। তারা আরও বলার চেষ্টা করছে আগামী নির্বাচন সরকার যতই কারচুপি করুক না কেন তারপরেও তাদের দল ৭০ থেকে ১০০টি আসন পাবে (মানে সরকার তাদের পরিকল্পনা মতো যে ১০০ আসন অন্যের জন্য ছেড়ে দেবে সেগুলোতে অবশ্যই সরকারবিরোধীরা জয়লাভ করুক তাতে সরকার কোনো আপত্তি করবে না)। তখন সরকার একচ্ছত্রভাবে দেশ চালাতে পারবে না এবং সরকার তাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। রাজনৈতিক দলে নির্বাচন পাগল নেতাদের ভিড় বেশি, তাই নির্বাচনে যাওয়ার আন্দোলনের পালে বেশ বাতাস ইতিমধ্যেই পেয়েছে। যার ফলে রাজপথে আন্দোলন তেমন বেগবান করার চেষ্টা মাঠে ময়দানে বা রাজপথে তেমন চোখে পড়ে না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার ও রায়ের বিরুদ্ধে লোক দেখানো সপ্তাহব্যাপী যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও দলের সিনিয়র নেতারা তেমন গুরুত্ব নিয়ে আগাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। পূজার কারণ দেখিয়ে আন্দোলন ২২ তারিখ পর্যন্ত পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো একটি আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে যার আলামত দৃশ্যমান। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করে তাদের মুক্তির জন্য আন্দোলন চাঙ্গা করার সুযোগ সরকার নিজেই করে দেবে যাতে সাত দফা আর ১১ লক্ষ্য সবাই ভুলে নির্বাচনের আন্দোলনে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে!!!
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে ফিসফাস শোনা যাচ্ছে। এদিকে অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে তফসিল ঘোষণার দিন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ বা প্রতিবাদের ব্যবস্থা নিতে। এ লক্ষ্যে জামায়াত ও বিএনপি সমশক্তি নিয়ে রাজপথে থাকার জন্য আলাপ আলোচনা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। জামায়াতের নাকি বক্তব্য তারা একাই ৫০% রাজপথে থাকবে এবং বিএনপি যদি বাকি ৫০% নিয়ে রাজপথে থাকতে পারে তাহলে জামায়াত ১০ দিনের মধ্যে সরকারকে ফেলে দেবে। এগুলো সব বাজারের গপ্প। সত্যতা একমাত্র আল্লাহ জানেন। তবে জনগণ মনে করে এ সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে প্রতিবেশী ও বিদেশি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সহায়তায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। ওই নির্বাচনে ধানের শীষ থাকবে কিন্তু দেশমাতাকে মুক্তি দেবে না। জনগণ এও মনে করে নির্বাচনের পরে সরকার সম্ভবত দেশমাতাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেবে কিন্তু নির্বাচনের পরে সরকার তারেক রহমানকে যে কোনো মূল্যে দেশে ফিরিয়ে আনবে। নির্বাচনের সময় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে তার দায়ভার তারেক রহমানের ওপর চাপিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে তার সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা চলতে পারে। তাকে সন্ত্রাসী নেতা বানিয়ে যাতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। যদিও তারেক রহমানের উকিলরা শতভাগ নিশ্চয়তা দেবে যে কোনো অবস্থাতেই সরকার তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। কিন্তু চরম বাস্তবতা এবং রাজনৈতিক সম্ভাবনা হলো নির্বাচনের পরে তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য সরকার অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের হাতে ছয় মাসের মধ্যে তুলে দেবে।
আন্দোলন করে নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা এ মুহূর্তে কারও নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন প্রচ-ভাবে কৌশলী হতে হবে। ইতিমধ্যেই সময় যথেষ্ট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সম্ভাব্য রায়ের আগেই বিরুদ্ধে কর্মসূচি আশা করেছিল জনগণ। হয়তো জনগণের চেয়ে বুদ্ধিমান কোনো ব্যক্তিগোষ্ঠী সেদিন আগাম কর্মসূচি দেওয়া সঠিক মনে করেনি অথবা আগাম কর্মসূচি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি কিন্তু এখন অনেকে লোক দেখানো কর্মসূচিও দিচ্ছে। আবার রায়ের বিরুদ্ধে নিজেরাও কথা বলছে এবং অন্যদের ডেকেও রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে অনুরোধ করছে। অর্থাৎ ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’র মতো এখন আমাদের বুদ্ধি বেড়েছে!! যাক যা হওয়ার হয়েছে। এখন পেছনে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকাতে হবে।
সরকার এবং প্রতিবেশী ও বিদেশিদের কাছে এখন একটিই লক্ষ্য তাহলো আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করা যাতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়। গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হলে সেই নির্বাচনে অবশ্যই ধানের শীষ নিয়ে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করাতে হবে। না হলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আজকে এবং রাজনীতির এ ক্রান্তিকালে এটি হলো বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি বা অস্ত্র বা অবস্থান। এ শক্তি বা অস্ত্র বা অবস্থান সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে রাজনীতি বিএনপির অনুকূলে চলে আসবে বলে জনগণের বিশ্বাস। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে তা সবচেয়ে চৌকস কৌশল হিসেবে ইতিমধ্যেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখন এ কৌশলের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি সরকারকে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারে তাহলে ঐক্যফ্রন্টের মার্কা ধানের শীষ নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে যেতে পারবে যেখানে রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আশা করা যেতে পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেওয়ার দাবি যদি সামনে নিয়ে আসে তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সরকারকে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে রাজি করাতে পারবে। সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দাবি ন্যায্য এবং যৌক্তিক। তাছাড়া বিদ্যমান সংবিধানেও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনের কথা সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে। তখন সংবিধানের ১২৩(৩) (খ) উপ অনুচ্ছেদের আওতায় সংসদ ভাঙিয়া যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে হবে কিন্তু বর্তমান সরকারকেও পদত্যাগ করতে হবে। যদিও পরবর্তী সরকার না আসা পর্যন্ত চলমান সরকার কাজ চালিয়ে যাবে কিন্তু যেহেতু সংসদ থাকবে না তাই নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষমতাও সীমিত থাকবে। তাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারে ১০% হিসেবে বিএনপির বা ঐক্যফ্রন্টের নেতারা থাকতে পারবে। সম্ভাবনা হিসেবে বলা হচ্ছে সব পক্ষ রাজি থাকলে ৫০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচনকালীন সরকার বা মন্ত্রিসভা গঠন করা যেতে পারে যেখানে বিএনপির বা ঐক্যফ্রন্টের পাঁচজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের পাঁচজন মন্ত্রী এবং বাকি ৪০ জন দফতরবিহীন প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকতে পারে। সংবিধানের ৫৫, ৫৬, ৫৭ বা ৫৮ অনুচ্ছেদ যেখানে যথাক্রমে মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিগণ প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ এবং অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে তাদের দফতর দিতেই হবে এবং এও লেখা নেই যে, মন্ত্রিসভায় কতজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকবেন, তবে তারা যে সবাই মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী যতজন খুশি ততজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারবেন তা পরিষ্কারভাবে লেখা আছে। বিদেশিরা হয়তো এ ফর্মুলায় প্রধানমন্ত্রীকে রাজি করাতে পারবে তবে হয়তো সমস্যা দেখা দেবে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে যা ছাড়তে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রাজি হবেন না এবং রাজি হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণও নেই।
বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বিএনপির ওপরই বর্তাবে। যদি বিএনপি রাজি হয় তাহলে মনে হয় বিদেশিরা চলমান রাজনীতির একটি সম্মানজনক সমাধানে পৌঁছাতে পারবে।
যদি সংসদ ভেঙে সরকার পদত্যাগ করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টসহ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে তবে অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি এবং যেখানে সবপক্ষই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। যার ফলে সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী হতে পারে। যদি সবপক্ষ এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তাহলে বর্তমান সংসদেই প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে উভয়পক্ষ থেকে সমসংখ্যক সদস্য নিয়ে এবং বিরোধী দলের জন্য মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট করে সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে।