মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান, সাধারন সদস্য ও মহিলা সংরক্ষিত আসনের প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থীরা ।
উপজেলার ৯নং টেপাখড়িবাড়ি, ৪নং খগাখড়ীবাড়ি এবং ৫নং গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দীর্ঘ ১৩ বছর পর হওয়ায় আনন্দের ঢেউ জাগিয়ে উঠছে ইউনিয়নগুলোর ভোটেরদের মাঝে। ইউনিয়ন তিনটি ঘুরে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী ও সাধারন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থীদের চেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার- প্রচারনা চোখে পরার মত। সীমানা জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন যাবত নির্বাচন না হওয়ায় ভোটারা জানায়, আমরা অনেক দিন পর নির্বাচন পেয়ে আনন্দিত। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু,অবাদ, নিরপেক্ষ হয় তাহলে আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে বেছে নিতে পারবো। উপজেলা নির্বাচন আফিস সূত্রে জানা যায়, তিন ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩ শত ৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ হাজার ৩৪ জন ও নারী ভোটার ২২ হাজার ৩ শত ১৬ জন ।
কে হবে ইউনিয়নের পিতা, এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা – কল্পনা ভোটারদের মাঝে। কেউ বলতে পারছেনা কারো কথা , নিরবে দিন গুণছে সাধারন ভোটারা। খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭ শত ৯ জন, নারী ভোটার ৭ হাজার ৯ শত ২৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৭ শত ৮৫ জন ভোটার নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন ৭ জন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন- চশমা, জাহাঙ্গীর আলম নৌকা, জাকারিয়া ডি,এম- লাঙ্গল, আতিকুজ্জামান বিঞ্জু – ধানের শীষ, সামিউল গনী চন্দন – আনারস, রুকুনুজ্জামান – ঘোড়া, ও এ. কে. এম. শামীম – মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠে নামছে প্রার্থীরা। ৭ জন প্রার্থী থাকলেও ত্রিমূখী লড়াই হবে বলে জানায় ভোটারা । অপর দিকে গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯ শত ৬০ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৯ শত ২৩ জন ও নারী ৮ হাজার ৩৭ জন ।
এখানে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন । আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান শরিফ ইবনে ফয়সাল মুন- নৌকা, সতন্ত্র সামছুল আলম – আনারস ও রুকুনুজ্জামান বকুল মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে লড়ছে ভোট যুদ্ধের ময়দানে। এখানে ৩ জন প্রার্থী থাকলেও দ্বি-মূখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। অন্যদিকে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৬ শত ৮১ জন, পুরুষ ৬ হাজার ৩ শত ২৬ ও নারী ৬ হাজার ৩ শত ৫৫ জন । চেয়ারম্যান পদে লড়ছে ২ জন, আওয়ামী লীগের ময়নুল হক-নৌকা এবং সতন্ত্র বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন- আনারস প্রতিক নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে, কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ । খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারনায় চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর আলম এর নৌকা প্রতীক নিয়ে জনসংযোগে উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ডিমলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, ডিমলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার ও সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্র নেতা ময়নুল হক এর নির্বাচনী প্রচারনার পথসভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলার সাবেক ছাত্রনেতা জনাব ওয়াদুত রহমান, ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য ফেরদৌস পারভেজ, জলঢাকা উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি সারোয়ার রশিদ, ছাত্র নেতা রাজীব চৌধুরী ও ডিমলা উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ এবং সদর ও বালাপাড়া ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন- চশমা প্রতিক এর দোহলপাড়ায় সমাজসেবক ভূলেন্দ্র নাথ এর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শুভেচ্ছা বক্তব্যে চেয়ারম্যান তার শাসন আমলের উন্নয়নের দিক তুলে ধরে বলেন, আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে টানা ৭ বছর ৩ মাস যাবত ইউপি চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনারা এও জানেন যে, আমার কোনো পিছষ্টান নেই, আমার নির্বাচনী এলাকায় খগাখড়ি বাড়ি ইউয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুল,কালভার্ট নির্মান ও রাস্তা সংস্কার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, এবং দালাল ছাড়াই হতদরিদ্রদের মাঝে ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি, ভিজিএফ, ভিজিডি, জি,আর এবং ত্রান বিতরন করেছি। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে তিনি পুন:রায় চশমা প্রতীকে আগামী ২১ অক্টবর ০১টি করে ভোট দিয়ে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। এতে আরো ব্যক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক আবুল হোসেন, হিট্টু মিয়া, অপিজন নেছা প্রফেসর গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।