১৪ তম এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। এরপর ইমাম-উল-হক ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে শুরু করে তারা।
ঠিক তখনই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন রুবেল হোসেন।
পাকিস্তানের অন্যতম ভরসা শোয়েব মালিককে ফেরান রুবেল। ইনিংসের ২১ তম ওভারে মাশরাফির হাতে তালুবন্দি হন শোয়েব। তিনি ৫১ বলে ৩০ রান করেন। আউট হবার আগে ইমাম-উল-হকের সঙ্গে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। এই শোয়েব মালিক চলতি এশিয়া কাপের আসরে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। তাই তাকে সময়ে ফেরাতে না পারলে হয়তো এই ম্যাচের গল্পটা অন্যভাবে লিখতে হতো।
রুবেল হোসেনের করা ২১তম ওভারের প্রথম বলে মালিক মিডউইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ০০.৮৪ সেকেন্ডে এক হাতে বলটা ছোঁ মেরে ক্যাচটা নিয়ে নেন মাশরাফি।
বলটা তালু বন্দী করতে ২.৩৫ মিটার বা প্রায় ৮ ফুট ডাইভ দিয়েছেন ম্যাশ। ডাইভ দিতে গিয়ে আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। ব্যথা পেয়ে মাঠের বাইরেও তাকে থাকতে হয়েছে ১৫ মিনিট।
সেই ক্যাচের পর খেলার মাঠে অন্যান্য খেলোয়াড়দের শরীরীভাষাও বদলে গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে সেই ক্যাচ নিয়ে শরাফি শুধু নিজের কথা বললেন না, বরং পুরো দলকেই কৃতিত্ব দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের ফিল্ডিং নিয়ে গর্ব করা যায়। অনেক দিন আমরা এমন ফিল্ডিং করে দেখাতে পারিনি। আশা করি আজকের পর দলের খেলোয়াড়েরা বুঝবে ভালো ফিল্ডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শোয়েব মালিকের ক্যাচটা যে শেষ পর্যন্ত ছাড়িনি, এতে আমি ভাগ্যবান ছিলাম। শোয়েব যে রকম ফর্মে ছিল এবার। শুধু আমি নয়, সব মিলিয়ে আমাদের ফিল্ডিংটা ভালো হয়েছে। ’