বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: সম্প্রতি সংসদে পাশ হওয়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বলেছেন, এটি শুধুমাত্র মত প্রকাশের স্বাধীনতাই নয়, একইসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মী এবং যারা সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর গবেষণা করে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্যও বড় একটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)তে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে টিআইবি।
মানববন্ধনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আপনারা জানেন ৩২ ধারা রয়েছে, এ আইনের মাধ্যমে ঔপনেবিশিক সময়ের দুইটা অফিসিয়াল সিকিউরিসি আইন পুনরায় নতুন করে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যেটি খুবই পশ্চাৎমুখী বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, যারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে চায় তাদের জন্য বড় ধরণের হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। এক ধরণের নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সরকার যে অগ্রগতির একটি আভাস দিয়েছিল সেটির সঙ্গে যেভাবে বৈপরিত্ব ও সাংঘর্ষিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ও সংবিধানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক হিসেবে দাবি করে, আমরাও সেটি স্বীকৃতি দিই। তাদের কাছ থেকে এ ধরণের আত্মঘাতি আইন করা আমাদের কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য মনে হয় না।
আইনটির সংশোধন দাবি করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। আশা করবো তার কাছে যে সাংবিধানিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তিনি আইনটি অনুমোদন না দিয়ে সংসদে আবার ফেরত পাঠাবেন। যাতে করে এ আইনটি পুনরায় বিবেচিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছে তাদের মাধ্যমে আইনটি পুনরায় সংশোধন করা যেতে পারে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাময়িক বিবেচনায় কোন কোন আইন কোন কোন মহলের কাছে সন্তোষজনক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সেটি বুমেরাং ও আত্মঘাতী হতে বাধ্য।