দাম্ভিক শক্তিগুলো মুসলিম ঐক্যকে প্রচণ্ড ভয় পায় : খামেনি

Slider বিচিত্র

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।

শুক্রবার রাতে তেহরান সফররত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ তিনি আহ্বান জানান।

খামেনি বলেন, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বিশ্বের দাম্ভিক শক্তিগুলো মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় না এবং তারা একটি সম্ভাব্য মুসলিম শক্তিকে প্রচণ্ড ভয় পায়।

তিনি বলেন, ঠিক এ কারণে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র বৈরি আচরণ শুরু করেছে ওয়াশিংন।

খামেনি আরও বলেন, ইরান ও তুরস্ক এ অঞ্চলের দু’টি শক্তিশালী ও সম্ভ্রান্ত রাষ্ট্র এবং মুসলিম বিশ্বের ব্যাপারে তারা একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। কাজেই পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্র নস্যাত করার লক্ষ্যে ইরান ও তুরস্কের উচিত নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা অতীতের চেয়ে শক্তিশালী করা।

তুরস্কে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে তেহরান ও আঙ্কারার সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। দু’দেশের মধ্যকার ঐক্যের জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে জোরদার করতে হবে।

খামেনি মিয়ানমার ইস্যুতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি ফিলিস্তিন প্রসঙ্গেও তুর্কি সরকারকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার আহ্বা জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন সংকটের ব্যাপারে মুসলিম বিশ্ব এক মুহূর্তে উদাসীন থাকতে পারে না।

বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, মুসলিম বিশ্বের সব সংকটের মূলে রয়েছে এসব দেশের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির অভাব। পাশ্চাত্যের অসদাচরণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এ কারণে তিনি ইরান ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *