কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ সরকারি হওয়ায় আনন্দ উল্লাস

Slider শিক্ষা

মো. সাজ্জাত হোসেন,কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর সরকারি হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বমহলে আনন্দ উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে কলেজটি সরকারিকরণের নির্দেশ জারি হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কলেজটি সরকারিকরণ করায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ১৯৭০ সালে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ৪৮ বছর পর কলেজটি সরকারি করা হয়। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ। ১৯৭০ সালে তৎকালীন দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্ববৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী মসলিন কটন মিলের শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতায় এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের অনুপ্রেরণায় কলেজটি ছোট পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে। শ্রমিকদের পরিশ্রমের বিনিময়ে এবং তাদের আর্থিক সহযোগিতায় কলেজটি নির্মাণ ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শ্রমিকদের নামে কলেজটি নামকরণ করা হয় কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ। ধাপে ধাপে কলেজটি মাষ্টার্স পর্যায়ে উন্নতি লাভ করে। যা কালীগঞ্জের আপাময় জনসাধারন তথা শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সুযোগ লাভ করে। বর্তমানে কলেজটিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, সমাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনা এই চারটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞান দুটি বিষয়ে মাষ্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। বর্তমানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজারের অধিক। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির অক্লান্ত পরিশ্রমে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়েছে বলে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান। ৪৫ জন শিক্ষক ও ১৪ জন কর্মচারী নিয়ে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ তাদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদের সচিব, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বৈজ্ঞানি- চিকিৎসক-আইনজীবী-ব্যাংকার-সাংবাদিক ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিব্যক্তিবর্গ কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে লেখাপড়া করে তারা উজ্জ্বল জীবন গড়ে তুলেছেন।

কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর আলোকে দেশের ২৭১ টি কলেজের মধ্যে গাজীপুর জেলার তিনটি কলেজকে সরকারি করণ করা হয়। তার মধ্যে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ একটি। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই ২৭১ টি কলেজ সরকারিকরণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব নাসিমা খানম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এবং প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির অক্লান্ত পরিশ্রমে কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে। এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী ছেলেমেয়েরা এই কলেজে এইচএসসি হতে মাষ্টার্স পর্যন্ত অল্প খরচে লেখাপড়া করতে পারবে। কলেজটি সরকারিকরণের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *