টঙ্গীতে ১৬হাজার পিচ ইয়াবা সহ আটক-৩

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

গাজীপুর: গাজীপুর জেলার টঙ্গী হতে ১৬,০০০ পিস ইয়াবাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

১। মাদকাসক্তি একটি বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যা ক্রমশঃ বিস্তৃত হচ্ছে ব্যক্তি হতে পরিবার, পরিবার হতে সমাজে, সমাজ হতে রাষ্ট্রে। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব এই পর্যন্ত র‌্যাব বিপুল পরিমান দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০২ আগস্ট ২০১৮ ইং তারিখ আনুমানিক ১৬৪০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক ল গোপন সংবারে ভিত্তিতে জানতে পারে যে, গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানাধীন পাগাড় ঝিনুক মার্কেট এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক লটি টঙ্গী থানাধীন পাগাড় ঝিনুক মার্কেট সংলগ্ন পাগাড় শাহী জামে মসজিরে সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১) গোলাম মোস্তফা (৪২), পিতা- আব্দুল হাকিম, সাং- উত্তর কুল, বাংলা বাজার, থানা- বানারীপাড়া, জেলা- বরিশাল, বর্তমানে হ্নীলা পানখালী রোড, সেকেন্দার ফকিরের বাড়ী, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, ২) হাফিজুর রহমান ভুট্টো (২৭), পিতা- মোঃ জামাল উদ্দিন, সাং- নলচিড়া (উত্তরপাড়া), থানা- ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহ বর্তমানে জিনু মার্কেট (মানিকের বাড়ী), থানা- টঙ্গী, জেলা- গাজীপুর এবং ৩) মোঃ জুম্মান শিকদার (২৩), পিতা- মোঃ নুরুল হক শিকদার, সাং- নলেশ্রী, থানা- বানারীপাড়া, জেলা- বরিশাল, বর্তমানে দেওভোগ মাদ্রাসা পশ্চিম নগর, ওয়ার্ড নং- ৯, থানা- ফতুল­া, জেলা- নারায়নগঞ্জ’দেরকে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীদের নিকট হতে ১৬,০০০ (ষোল হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০৭ টি মোবাইল ফোন ও মাদক বিক্রিত নগদ ৫,১০০/- (পাঁচ হাজার একশত) টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৬,০০,০০০/- (ছাপান্ন লক্ষ) টাকা।

৩। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী গোলাম মোস্তফা ীর্ঘনি যাবৎ কক্সবাজারে বসবাস করছে। মূলত ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার জন্যই সে কক্সবাজারে স্বপরিবারে অবস্থান করছে। মিয়ানমার হতে আসা ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজারের জনৈক নুরুল ইসলাম এর নিকট হতে সে সংগ্রহ করে নিজে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় নিয়ে আসে এবং ঢাকাস্থ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে। ধৃত অপর আসামী জুম্মান শিকদার সম্পর্কে ধৃত আসামী গোলাম মোস্তফার ভাগ্নে এবং তার ইয়াবা ব্যাবসার সহযোগী। সে বিমানবন্দরে ফেয়ারডেল কোম্পানীর অধিনে ট্রলিম্যান হিসেবে কাজ করে। সে তার মামা গোলাম মোস্তফার সহযোগীতায় ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার চালান সরবারহে কাজ করে। ইতিপূর্বে তারা অসংখ্য ইয়াবার চালান কক্সবাজার হতে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করেছে বলে স্বীকার করে।

৪। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী হাফিজুর রহমান ভুট্টো একজন ইয়াবা ব্যাবসায়ী ও সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অবৈধ অস্ত্র মামলায় ২০১৩ সালে টঙ্গী ানা পুলিশ কর্তৃক সে গ্রেফতার হয় এবং দীর্ঘ ০৪ বছর কারাভোগ করে। কারাগার থেকে বের হয়ে সে পুনরায় ইয়াবা ব্যাবসার সাে জড়িয়ে পরে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার চালানটি সে ধৃত অপর দুই আসামীর নিকট থেকে গ্রহনের সময় বর্ণিত স্থানে র‌্যাব কর্তৃক হাতেনাতে গ্রেফতার হয়।

৪। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *