বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের একটি কলা বাগান থেকে গলা কাটা অবস্থায় মিলি বেগম (২৫) নামে গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সকালে উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের কলা বাগান থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মিলি বেগম উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে এবং গাবতলী উপজেলার পাঁচপাইকার গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ মিলি বেগম পুলিশকে জানিয়েছে তার স্বামীই তাকে হত্যার জন্য গলা কেটে কলা ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের কলা বাগানের মধ্য রক্তাক্ত গলাকাটা অবস্থায় এক যুবতীকে সঙ্গাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে ওই যুবতীকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠায় পুলিশ।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল আজিজ মন্ডল জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সোহেল রানাই তাকে কৌশলে বাড়ি থেকে এনে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে মৃৃত ভেবে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, ছুরিটি বেশি ধারালো না হবার কারণে মেয়েটির শ্বাসসনালী কাটা পড়েনি।
যার কারণে প্রাণে বেঁচে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিলির শরীরে অস্ত্রোপচার চলছিল। অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাহিদ হোসেন মণ্ডল জানান, হাসপাতালে গৃহবধূ অস্পষ্টভাবে তার পরিচয় জানিয়ে বলেছে, তাকে তার স্বামী সোহেল হত্যার উদ্দেশে সেখানে নিয়ে আসে এবং তার গলা কেটে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তার স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।