বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশ থেকে চারটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ ককটেল গুলো উদ্ধার করে।
তবে পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ককটেল কিনা তা নিশ্চিত নন দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম শফিক বাংলামেইলকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এসব বিস্ফোরক উদ্ধার করেছি’।
মূলত ক্যাম্পাসে ভীতি সৃষ্টির জন্য এমন ঘটনা কেউ ঘটাতে চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় ক্যম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরে নিরাপত্তাহীনতা আশঙ্কা কাজ করছে।
আল-আমিন নামে এক শিক্ষার্থী আপেক্ষ প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ভিসি স্যার ও আন্দোলনকারী স্যারসা একের পর এক যে নাটকের দৃশ্যায়ন করেছে তা শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে ধ্বংস করছে’।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘আজ যদি সত্যি সত্যি এই ককটেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটত। যদি কোনো মায়ের বুক খালি হতো। তখন এর দ্বায়ভার কে নিতো। আমরা এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জিম্মি দশায় অধ্যায়ন করছি’।
এদিকে এঘটনার নেপথ্যে গত মঙ্গলবার লাইব্রেরীতে হামলাকারীদের ইন্ধন থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র বর্মন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. শাহজাবান বলেন, ‘তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।